নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গা:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জম্মশত বর্ষ উপলক্ষে গৃহহীন পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে বাড়ি তৈরী করে দিচ্ছে সরকার। ২ শতাংশ খাসজমিতে সরকারী খরচে এ বাড়ি গুলো তৈরী করে দেয়া হচ্ছে।
নলডাঙ্গা উপজেলায় ৪০ টি তালিকাভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে এ সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী, “মুজিব বর্ষে একটা মানুষও ভুমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। ” সেই লক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা প্রসাশন কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ঘরগুলো উদ্ধোধন করবেন বলে জানা যায়।
এব্যাপারে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুলাহ আল মামুন জানান, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য বাড়িগুলো নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে এবং আমি নিজেই নিয়মিত তদারকি করছি যেন সুষ্ঠভাবে কোন রকম অনিয়ম ছাড়া এই কাজ গুলো শেষ করে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
উপজেলা প্রশাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য চলতি অর্থবছরে নলডাঙ্গা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে খাস জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ৪০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে ব্রহ্মপুর ইউনিয়নে ৭টি, মাধনগর ইউনিয়নে ৮টি, বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নে ১৭টি, খাজুরিয়া ইউনিয়নে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত করে ওই জমির ওপর ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট এসব আধা পাকা ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুমের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
সবগুলো ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে একই রকমভাবে। সেই সঙ্গে ওই পরিবারগুলোর আধুনিক সুবিধার জন্য থাকছে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহের পাশাপাশি ওই এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে আলোকবাতি।
গৃহহীন পরিবারদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমাদের এতদিন কোন আশ্রয় ছিল না। সরকার থেকে বাড়ি তৈরী করে দিচ্ছে। আমরা খুব খুশি। আমরা এবার ঠিকানা পাব। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওমর খৈয়াম জানান, গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেয়ার নির্দেশনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। মুজিব বর্ষে গৃহহীন পরিবার গুলো তাদের স্থায়ী ঠিকানা পাবে এটি খুব আনন্দের ব্যাপার। সঠিক সময়ের মধ্যে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম শেষ করে গৃহহীনদের হস্তান্তের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, গৃহীন মানুষগুলো তাদের ঠিকানা পাবেন। তাদের মুখে হাসি ফুটবে। মুজিব বর্ষে আমাদের গর্বের প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও নির্দেশনাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য নিয়মিত দেখভাল করা হচ্ছে।