শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / উন্নয়ন বার্তা / ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঃপ্রধানমন্ত্রী

১৭ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঃপ্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। কারণ, দুর্ভিক্ষের প্রভাব দেখা দিতে পারে, সে সময় যাতে কাউকে খাদ্যসংকটে ভুগতে না হয়।’ তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ডের দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই ছোট। আমাদের মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটির কাছাকাছি। তাদের খাদ্যনিরাপত্তা দেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’ শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২০’ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনায় দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না করে, সে জন্য প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি যেন তারা তাদের কাজগুলো ভালোভাবে চালাতে পারে। নিম্নবিত্তদের যারা করোনায় কাজ করতে পারেনি, তাদের জন্য বিনা মূল্যে চালের ব্যবস্থা করেছি। যারা হাত পেতে খেতে চায় না, তাদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চালের ব্যবস্থা করেছি। কৃষিকে আমরা যান্ত্রিক করার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি। কৃষকরা অল্প পুঁজিতে কৃষিযন্ত্র কিনতে পারছে। এ জন্য আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় আসার আগে ২৪ লাখ টন খাদ্যসংকটে ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেই সংকট কাটিয়ে আমরা আরো ২৬ লাখ টন খাদ্য অতিরিক্ত রেখে গিয়েছিলাম।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে পুষ্টিনিরাপত্তার দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। যাতে পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, সে জন্য বিভিন্ন গবেষণা করেছি। এতে কৃষিবিজ্ঞানীরা যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। ৬৫৫টি ফলনশীল খাদ্যের উদ্ভাবন করেছেন তারা। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমেই আমাদের কৃষকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সারের দামও আমরা কমিয়ে এনেছি। সেচের ব্যবস্থায় তাদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় না। খুবই সামান্য বিল ধরা হয়েছে। সোলারের মাধ্যম কৃষক সেচের কাজ করতে পারছে। আমাদের লক্ষ্য কৃষকদের সুবিধা দেয়া।’

সরকারপ্রধান বলেন, স্বাধীনতার আগে দেশের মানুষের এক বেলা খাবার জোগাড় করা কষ্টকর ছিল। সে চিন্তায় ’৭২ সালে দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে কাজ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, খাদ্য উৎপাদনে প্রত্যেক কৃষককে কাজ করে যেতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। খাদ্য নিশ্চিত করাই বঙ্গবন্ধুর একমাত্র লক্ষ্য ছিল। সে জন্য তিনি ৫৫০ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে ১০১ কোটি টাকা কৃষির জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন। কৃষকদের জন্য কৃষি জাতীয় উন্নয়ন তহবিল গঠন করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে ’৭৫-এর পর বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ নীতি প্রণয়ন করি, কৃষিনীতি প্রণয়ন করি। কৃষিতে গবেষণার ব্যবস্থা করেছি। এখন কৃষকের হাতেও মোবাইল ফোন পৌঁছে গেছে। মোবাইল ফোনে ছবি তুলে তারা ফসলের সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা অনলাইনে তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যেকোনো সমস্যা হলে সমাধান পেতে পারে। কৃষকদের সহযোগিতা করার জন্য ২ কোটি ১০ লাখ কৃষি-উপকরণের কার্ড দিয়েছি। কার্ডের মাধ্যমে কৃষক অর্থ নিতে পারছে। আমরা নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছি।’

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …