রবিবার , সেপ্টেম্বর ২৯ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / শাপলা চত্বরের ঘটনায় বাবুনগরী কাণ্ডের ভয়াবহ তথ্য ফাঁস!

শাপলা চত্বরের ঘটনায় বাবুনগরী কাণ্ডের ভয়াবহ তথ্য ফাঁস!

নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ১৩ মে সংঘটিত পুরো ঘটনার দায়ভার হেফাজতে ইসলামের ওই সময়ের মহাসচিব ও বর্তমান আমির হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীর ওপর চাপিয়েছেন সংগঠনটির সদ্য সাবেক নেতারা। তারা অভিযোগ করে  বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরী হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি একজন প্রতারক। তাকে শাপলা চত্বরের ঘটনার দায়ভার নিতে হবে।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে না জানিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের রাতভর শাপলা চত্বরে রেখে দেন বাবুনগরী। তার ধারণা ছিল, সারারাত শাপলা চত্বরে অবস্থান নিতে পারলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী নামতে বাধ্য হবে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আহম্মদ শফির অনুসারীরা এক সভার আয়োজন করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ।
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ বলেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার দায়ভার নিতে হবে জুনায়েদ বাবু নগরীকে। সেই কর্মসূচির মিটিংয়ে অনেকে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে বললেও বাবুনগরী সারারাত সেখানে অবস্থান নেওয়ার কথা বলেন। তিনি আল্লামা শফিকে জানান, সারা দেশ থেকে ছেলেরা আসবে। কিন্তু তার আগে আল্লামা শফি সিদ্ধান্ত নেন ছয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। কিন্তু তিনি হুজুরকে না জানিয়ে নিজেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। পরে শাপলা চত্বরে নিহতদের পরিবারের জন্য ফান্ড কালেকশনের কথা বললেও তিনি করেননি।
এ সময় বাবুনগরীকে উদ্দেশ্য করে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘আপনি অনেক বহুরুপী। আপনার সঙ্গে আমার এক সময় ভালো যোগাযোগ ছিল। আপনি হেফাজতের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আপনি একজন বড় প্রতারক। সরকারের সঙ্গে কোথায় গেছেন, পায়ে ধরেছেন জানা আছে। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নির্যাতনের কথা বলে আলেম-ওলামাদের প্রশাসনের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন। প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন।
দেশের অনেক বিতর্কিত সংগঠনের সঙ্গে বাবুনগরী হাত মিলিয়েছেন উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সময় মতো মুখ খুললে টিকে থাকতে পারবেন না। ১৫১ জনের কমিটির মধ্যে আপনার আত্মীয় আছে ২২ জন। মেয়ের জামাই থেকে শুরু করে মামাত ভাই, খালাত ভাই সবাইকে কমিটিতে স্থান দিয়েছেন।
আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ অভিযোগ করেন, আল্লামা শফির মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলো না। এর বিচার করতে হবে। অন্যথায় আলেম সমাজ এর বিচার করবেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাব, পেছনের দিকে যাব না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু।

সূত্র: ভোরের পাতা

আরও দেখুন

নাটোরে সিংড়ায় সংখ্যালঘুদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরে সিংড়ায় সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতিবাদে ও ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে …