নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ২৭ বছর পর নির্বাচিত নেতৃত্ব পেতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে ছাত্রদলের। এদিন সংগঠনটির শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণ হবে। যাতে সারা দেশের ছাত্রদলের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর ভোট দেবেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা লড়ছেন তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির ছাত্রদলে সভাপতি পদপ্রার্থী আসাদুল আলম টিটু কুখ্যাত সন্ত্রাসী যিনি কানা টিটু নামেই বেশি পরিচিত। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ তার এলাকায় অবস্থিত সকল বস্তিতে হিরোইন ও গাঁজার ব্যবসা করে, এসএম আল আমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ধর্ষণ মামলা, জুয়েল মৃধার দাদা ছিলেন রাজাকার, আবদুল হান্নান কুখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানের ভাতিজা।
অপরদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের মধ্যে সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি করে, আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাতের একাধিক মামলা রয়েছে।
ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা রাজনৈতিক দলে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটে। এটা কোনো বড় বিষয় নয়। ক্ষমতায় গেলে আমি বিশ্বাস করি, তারা নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাবে। সাধারণ একটা বিষয়কে এতো বড় করার কোনো মানেই হয় না। এছাড়া যারা ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশীদের নিয়ে এসব কথা বলে বেড়াচ্ছে তারা বিএনপির শুভাকাঙ্ক্ষী নন। মানুষের চরিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ করার আগে নিজের চরিত্র ঠিক করতে বলবো তাদের।