নিজস্ব প্রতিবেদক:
জয় বাংলা শব্দটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের। এটাকে দলীয় বানাবেন না। ভারত যদি জয় হিন্দ বলতে পারে আমরাও জয় বাংলা বলতে চাই।…আমি বক্তব্য শেষ করে জয় বাংলা বলতে চাই, সরকারের কাছে এ জন্য আবেদন জানাব: প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস
বক্তব্য শেষে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ বলতে চান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, এটা কোনো দলীয় স্লোগান হতে পারে না, এই স্লোগান দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের কাছে অনুমতি চাইবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা শব্দটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের। এটাকে দলীয় বানাবেন না। ভারত যদি জয় হিন্দ বলতে পারে আমরাও জয় বাংলা বলতে চাই।
‘আমি বক্তব্য শেষ করে জয় বাংলা বলতে চাই, সরকারের কাছে এ জন্য আবেদন জানাব।’
জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে অপপ্রচার ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে শনিবার সকালে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সরকারি কর্মকর্তা ফোরাম।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, ‘জাতির পিতার সম্মান রাখব মোরা অম্লান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব।
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনগুলো বক্তব্য শেষে জয় বাংলা স্লোগান ব্যবহার করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই স্লোগানটিই বহুলভাবে ব্যবহার করত মুক্তিযোদ্ধারা।
হাই কোর্টও গত মার্চে এক রায়ে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস বলেন, ‘সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছে দেশের মানুষকে সেবা দিতে। আমরা জনগণের সেবক। আমাদের দায়িত্ব সংবিধান সমুন্নত রাখা। আমরা যদি থাকি, জাতির পিতার অবমূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই।
‘আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে, যে মহা মানুষের জন্য এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, তার অসম্মান আমরা হতে দেব না।’
মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর অসম্মান হতে দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা ফোরামের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
পুলিশের মহাপরদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানেই হলো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তার ওপর হামলা মানে রাষ্ট্রের ওপর হামলা, সংবিধানের ওপর হামলা। আমরা জাতির জনক, দেশের স্বাধীনতা, রাষ্ট্রের জনগণের ওপর কোনো আঘাত আসতে দেব না।’
স্বাধীনতাবিরোধীদের সমালোচনা করে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হেলাল উদ্দিন বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকালেও শক্তিটি সক্রিয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ যখন কথা বলে আমাদের প্রাণে লাগে। এ ব্যাপারে দেশের ১৭ কোটি মানুষের দ্বিমত থাকার কথা নয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো প্রকার অপমান, অবজ্ঞা সহ্য করব না, মেনে নেব না।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আ ম সেলিম রেজাসহ সরকারের ২৯টি ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা।