নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনার প্রভাব মোকাবিলায় দেশের ক্ষুদ্র অর্থনীতি চাঙ্গা করতে অতিরিক্ত ৫ কোটি ডলার অতিরিক্ত ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এটি স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে) প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা।
করোনায় ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান ‘মাইক্রোন্টারেন্টরপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের’ আওতায় বাড়ি অর্থায়ন করেছে এডিবি। প্রকল্পটি ২০১৮ সালে অনুমোদন করা হয়। একটি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনকে (পিকেএসএফ) ৫ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে এডিবি। চলমান প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ তার অংশীদার সংগঠনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৫৮০টি ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছে, যা গ্রামাঞ্চলে ৯১ হাজার ৪৩০টি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এডিবির এ নতুন ঋণ পিকেএসএফের মাধ্যমে ৩০ হাজার অতিরিক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে সরবরাহ করা হবে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী নেতৃত্বাধীন। প্রকল্পটি ক্রেডিট মূল্যায়ন, মূল্য নির্ধারণ এবং আর্থিক এবং পোর্টফোলিও পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের মতো মাইক্রোন্টারেন্টারপ্রাইজ ১২০ অংশীদার ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা জোরদার করবে। এটি পাইলট মোবাইলভিত্তিক মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং অ্যাপ্লিকেশনটির অতিরিক্ত ১০ হাজার ঋণগ্রহীতার কাজ প্রসারিত করবে, যা অ্যাপ্লিকেশন, বিতরণ এবং সংগ্রহকে সহয়তা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অতিরিক্ত অর্থায়ন গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা করবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তার পাশাপাশি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে এবং তাদের কর্মীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে এডিবি প্রধান বিশেষজ্ঞ (বাংলাদেশ) জ্যোৎস্না ভার্মা বলেন, প্রকল্পটি ক্ষুদ্র সংস্থাগুলোর অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বাড়াবে এবং দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখবে।