রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বাগাতিপাড়া / প্রলোভনে বাগাতিপাড়ার বিবাহিত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণা!

প্রলোভনে বাগাতিপাড়ার বিবাহিত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণা!

খাদেমুল ইসলাম, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রলোভনে বিবাহিত নারীকে বিয়ে করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নাটোর সদর উপজেলার মল্লিকহাটি মহল্লার ইয়াকুব আলী বাবুর বিরুদ্ধে। ভুক্তভুগী কাজলী ও তার পরিবার সুত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে ইয়াকুব আলী বাবুর সাথে বাড়ি থেকে নোয়াখালী কাজলীর আগের স্বামীর বাড়ির যাওয়ার পথে পরিচয়। বাবু তখন সামি জনি বাসের সুপার ভাইজার হিসেবে কাজ করতো। সেই বাসের নিয়মিত যাত্রী ছিলেন ভুক্তভুগী কাজলী। যাত্রাপথে অভিযুক্ত সুপার ভাইজার বাবুর মিষ্টি মিষ্টি কথার মোহে উন্মাদ হয়ে পড়েন তিনি।

স্বামী ও ৭ বছরের সন্তান কে ফাঁকি দিয়ে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হন দু’জনে। বাসা ভাড়া নেয় গাজিপুরে, সেখানে পোশাক কারখানায় কাজও জুটিয়ে নেন তিনি। প্রায় দু’বছর চলে তাদের এই অবৈধ মেলামেশা। ইতি মধ্যেই তার আগের স্বামী এই পরকীয়া প্রেমের খবর জানতে পেয়ে তালাক দিয়ে দেন কাজলীকে। অবশেষে দু’বছর অবৈধ ভাবে থাকার পরে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুনঃরায় বাবু এবং কাজলী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু বিবাহের দেনমোহর ৪ লক্ষ ১ টাকা করার কথা থাকলেও প্রতারক বাবু ছলচাতুরী করে শুধু ৪০ হাজার ১ টাকা কাবিন সম্পূর্ণ করে। সেটাও ভালোবাসার মোহে মেনে নেন কাজলী।

বিয়ের কিছু দিনের মাথায় বাবু ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় কাজলীর পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য নানা রকম শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে শুরু করে। মেয়ের এই দ্বিতীয় সংসার টিকাতে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা বাবুকে দেয় কাজলীর পরিবার।কিছু দিন যেতেই যা ছিল আবার তাই, সুখ পাখিটি অধরাই রয়ে গেল। যৌতুকের দাবিতে আবারো শুরু হয় অত্যাচার। দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে বিয়ের ১ মাস ২৫ দিনের মাথায় প্রতারক বাবু কাজলীকে তালাক দিলেও তা জানেনা বলে দাবী করেন কাজলী। অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী বাবু দীর্ঘ দিনের পরকীয়া প্রেমের কথা স্বীকার করে বলেন, কাজলীর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল কিন্ত পারিবারিক সমস্যার কারনে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। আর যৌতুক ও দেন মোহরের টাকার লেন দেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। বাবুর প্রতিবেশী মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক জয়নুল আবেদীন এ ঘটনাটির সম্পর্কে জানান, শোরগোল শুনে বাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন কাজলী ও তার মা কান্নাকাটি করছে।

বাবু মেয়েটিকে প্রথমে অস্বীকার করে চেনেনা বলার কিছুক্ষণ পরে আবার বাবু বলছে কাজলীর সাথে তার বিয়ে হয়েছিল, কিন্ত পরে তালাকও হয়ে গেছে। এখন সে তার কেউ না। ”ক্যাব” নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ও নারী নেত্রী শামীমা লাইজু নীলা বলেন, কাজলীর মতো এমন গ্রামের অসহায় সহজ সরল মেয়েদের সরলতার সুযোগে পুরুষ জাতির কলঙ্ক বাবুর মতো প্রতারকরা প্রতারণা করে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে, স্বামী-সন্তান হারিয়ে সমাজের কাছে মেয়েটাকে খারাপ ভাবে তুলেধরে।

এ ধরনের মেয়েরা উপায় না পেয়ে আত্বহত্যা সহ সমাজের বিভিন্ন অপকর্মের দিকে চলে যেতে পারে। তাই আমি বলবো হতাশায় রাতের ঘুম নষ্ট না করে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে আগামী দিনের সোনালী স্বপ্ন বুকে লালন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে কাজলী। নাটোর পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এলামুল রহমান চিনু বিষয়টি সম্পর্কে কাজলীর নিকট থেকে অবহিত হয়ে বলেন, বাবু দুষ্ট প্রকৃতির ছেলে, এর আগেও একাধিক মেয়ের সাথে এ ধরনের প্রতারনার অভিযোগ শুনেছি। কাজলী একটা অসহায় মেয়ে, এ মূহুর্তে তার মানসিক শক্তি দরকার। তাই কাজলী ও তার পরিবারের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

আরও দেখুন

রাসিকের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগকর্তৃক গঠিত কমিটির ১ম সভা অনুষ্ঠিত

 নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেস বিজ্ঞপ্তি, ৬ অক্টোবর ২০২৪রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় …