নিজস্ব প্রতিবেদক:
জমে উঠতে শুরু করেছে নাটোরের উত্তরা গণভবন। দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর গত তারিখে গণভবন আবারও খুলে দেয়া হয় পর্যটকদের জন্য। এরপর থেকেই নানাস্থান থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করে আজ শুক্রবার হওয়ায় পর্যটকের সমাগম হয়েছে খুব ভালো দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৬০০ পর্যটক উত্তরা গণভবনে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন টিকিট কাউন্টারের তত্ত্বাবধায়ক নয়ন কুমার কুন্ডু।
নয়ন কুমার কুন্ডু জানান ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক এর সংখ্যা আশা করা যাচ্ছে আপনাদের প্রচারের মাধ্যমে পর্যটকরা উত্তরা গণভবন খুলে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারবেন সেই সাথে তারা উত্তরা গণভবনের প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলে আসবেন।
ভ্রাম্যমাণ দোকান মালিক হাবিবুর রহমান জানান গত সপ্তাহ থেকেই ব্যবসা জমতে শুরু করেছে আশা করি এভাবে থাকলে আমরা আবারো আগের মত ব্যবসা করতে পারব এবং অর্থনৈতিক যে খরা চলছিল সেটাও কাটিয়ে উঠতে পারব। বগুড়া থেকে আগত এক পর্যটক জানান তারা সংখ্যা নিয়ে আসছিলেন যে ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন কিনা তবে এখানে এসে তারা উত্তরা গণভবনে ঢুকতে পেরে খুবই খুশি বলে জানান।
নওগাঁর এক সরকারি কর্মকর্তা ঘুরতে এসেছেন উত্তরা গণভবনে। তিনিও খুব খুশি উত্তরা গণভবনের এই অপার সৌন্দর্য অবলোকন করতে পেরে।
তবে এ ক্ষেত্রে মূল ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অবস্থানকারী পুলিশ সদস্য এবং আনসার সদস্যরা বেশ সতর্ক অবস্থায় আছেন। কোন পর্যটককেই তারা মাস্ক ছাড়া ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তাছাড়াও টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহের পর ভিতরে প্রবেশের পূর্বেই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছেন তারা।
জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ জানান, এই করোনাকালে সবদিক বিবেচনা করে উত্তরা গণভবন এবং রাণী ভবানীর রাজপ্রাসাদ খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে এই সকল ঐতিহাসিক স্থাপনা উপভোগ করতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি। শীতের শুরুতেই উত্তরা গণভবন সহ রানী ভবানীর রাজপ্রাসাদ খুলে দেয়ায় কিছুটা হলেও সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে নাটোরের পর্যটন খাত গুলো। আগের মত রাজস্ব আদায় না হলে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দিতে পারিস বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।