নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আধুনিক মডেলের ১১টি ফায়ার স্টেশন স্থাপনসহ ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। এর ফলে প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপিত হবে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকারের কাজের অংশ হিসেবে প্রতি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আধুনিক মডেলের ১১টি ফায়ার স্টেশন স্থাপনসহ ২০২১ সাল নাগাদ আরও ১২৯টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। তখন মোট ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬৫টি। ভবিষ্যতে আরও ১৫৫টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে। তখন সারা দেশে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭২০টি।
শুধু ফায়ার স্টেশন নির্মাণ নয়, জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক গাড়ি ও সরঞ্জাম ক্রয় এবং ফায়ার একাডেমি নির্মাণের বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে থাকা ফায়ার সার্ভিসের ৬ হাজার ১৭৫ জনবল বাড়িয়ে বর্তমানে ১৩ হাজার ১০০ জনে উন্নীত করেছে। এই জনবল ২৫ হাজারের বেশি করতে অর্গানোগ্রামের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আগে বহুতল ভবনে আগুন লাগলে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকত না ফায়ার সার্ভিসের। কিন্তু বর্তমানে ২০ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপণের সক্ষমতা রয়েছে। অচিরেই ২২ তলা পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপণের সক্ষম ৬৮ মিটারের ল্যাডার সার্ভিসে যুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এটি চালু হলে আমাদের কর্মীরা ছাড়াও বিদেশ থেকে লোকজন এসে এখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ‘প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রস্তুতি; দুর্যোগ মোকাবিলায় আনবে গতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২০’ শুরু হয়েছে। ২১ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে পদক বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শেষ হবে।