নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের এক যুগের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ ঘটেছে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন নতুন উদ্ভাবন, নাগরিক সেবা এবং সরকারী-বেসরকারী খাতের সমৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে অবিস্মরণীয় বিপ্লব। সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবার সম্প্রসারণের ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ কারিগরি খাতে এসেছে সমৃদ্ধি। শুধু শহরে নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন বিভিন্ন নাগরিক সেবা। গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগের ফলে সেবা গ্রহণে নাগরিকদের ১.৯২ বিলিয়ন সময়, ৮.১৪ বিলিয়ন খরচ এবং ১ মিলিয়ন যাতায়াত হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ এর কারণে সমগ্র বিশ্ব যখন বিপর্যস্ত, স্থবির হয়ে পড়েছিল অর্থনীতিসহ সকল কার্যক্রম, ঠিক তখনও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে চলমান ছিল রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ। যার সুফল সরাসরি ভোগ করেছে দেশের মানুষ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন- অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। বর্তমান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ গড়ার প্রত্যয়ে। এ প্রত্যয়ের প্রাতিষ্ঠানিক নাম ‘রূপকল্প-২০২১’। যার বিনির্মাণ ঘটছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এ পরিণত হবে। এই ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখিয়েছেন -একটি উন্নত, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী, উৎপাদন ব্যবস্থার সমৃদ্ধি ও সেবার মান বৃদ্ধি এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজের।
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্তের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ডব্লিউএসআইএস এ্যাওয়ার্ড, আইটিইউ এ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ এ্যাওয়ার্ড এবং এ্যাপিকটা এ্যাওয়ার্ডসহ বেশকিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি এর উদাহরণ। তরুণ প্রজন্ম কেবল চাকরিমুখী না হয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিজেরাই গড়ে তুলছে ছোট-বড় আইটি প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স ব্যবসা, এ্যাপভিত্তিক সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটসহ কয়েকটি বড় প্রাপ্তি বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাত, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে।
বৈশ্বিক করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নাগরিকদের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনীয় পরামর্শ, করোনা সম্পর্কিত সকল সেবার হালনাগাদ তথ্যের জন্য করোনা পোর্টাল(www.corona.gov.bd) চালু করে। এ বিভাগের আওতাধীন এটুআই-এর উদ্যোগ করোনা বিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরী খাদ্য সহায়তা, সেলফ করোনা টেস্টিংসহ অনেক নতুন সেবা যুক্ত করা হয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ‘হোম অফিস’ এর মাধ্যমে সচল ছিল সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দাফতরিক কার্যক্রম। এমনকি বিচার বিভাগও এটুআই-এর সহযোগিতায় ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে বিচারিক কার্যক্রম। ঘরে বসে দেশ-বিদেশে চাকরির নিবন্ধন, হজযাত্রার নিবন্ধন, বিভিন্ন ধরনের দাপ্তরিক ফরম, ট্যাক্স, জাতীয় পরিচয়পত্র, ভূমি রেকর্ড ডিজিটালকরণ, ই-গবর্ন্যান্স ও ই-সেবা, টেন্ডার বা দরপত্রে অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজকর্ম অনলাইনেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে এখন। এছাড়া এটুআই এর সহায়তায় ই-নামজারি, আরএস খতিয়ান সিস্টেম, অনলাইন গ্রিভেন্স রিড্রেস সিস্টেম, জিটুপি পদ্ধতিতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভাতা প্রদান ইত্যাদি প্লাটফর্ম সরকারী বিভিন্ন সেবাকে নাগরিকদের জন্য আরও সহজ করে তুলেছে।
সরকারের সকল দফতরকে একীভূত নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ৫৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ ২৪০টি সরকারী দফতর এবং ৬৪ জেলা ও নির্বাচিত ৬৪টি উপজেলায় নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ১৮,৪৩৪টি সরকারী অফিসকে একীভূত নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে ও ৮০০+ গুরত্বপূর্ণ দফতরে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত সরকারি দফতরসমূূহে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত করা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক জনপদে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা সরবরাহের লক্ষ্যে ২,৬০০ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১,০০০ পুলিশ স্টেশনে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া ২২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ওয়াইফাই জোন স্থাপন করে জনগণকে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ-সমূহকে সংযুক্ত করতে ১৯,৫০০ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। দুর্গম এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি নেটওয়ার্ক স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৭৭২টি দুর্গম ইউনিয়নকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির আওতায় আসবে।
ই-গবর্মেন্ট বাস্তবায়নে বিদ্যমান ডাটা সেন্টারের হোস্টিং ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানের ডাটা সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে স্থাপিত ডাটা সেন্টারের সম্প্রসারণ করে ২০৬টি রেক স্পেসের ক্ষমতায় উন্নীত করা হয়েছে। এতে সরকারী ওয়েবসাইট (৬২৭টি), ই- মেইল হোস্টিং সার্ভিস (৭৭৩৪৯টি ই-মেইল এ্যাকাউন্ট), বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকার তথ্যভাণ্ডার, ই-সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রম, জাতীয় তথ্য বাতায়ন (৫১ হাজারের অধিক সরকারী দফতরের তথ্য বাতায়ন), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ই-ভ্যাট, ই-ট্যাক্স ইত্যাদি সিস্টেম, অর্থ বিভাগের অনলাইন বেতন ও পেনশন নির্ধারণী সিস্টেম হোস্টিং করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক স্থাপিত টায়ার থ্রি ডাটা সেন্টারটি ISO-27001; ISO-20000 আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। দুর্যোগকালীন সময়ে জাতীয় ডাটা সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা ও তথ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য শেখ হাসিনা সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর-এ ৩ পেটাবাইট স্টোরেজ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজাস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আরেকটি বড় অর্জনের তালিকায় যোগ হচ্ছে টিয়ার ফোর জাতীয় ডাটা সেন্টার (Tier-IV National Data Centre)। তথ্য সুরক্ষা ও অধিক হোস্টিং ক্ষমতার এই ডাটা সেন্টারটি আন্তর্জাতিক মানের এবং যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউট থেকে এর ডিজাইন অনুমোদিত হয়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এই ডাটা সেন্টারটি স্থাপিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ডাটা সেন্টার দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।
‘তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা নয়, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার’-এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সহজ করে তুলতে এটুআই-এর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে ‘কিশোর বাতায়ন’ ও ‘শিক্ষক বাতায়ন’ এর মত প্ল্যাটফর্ম। এছাড়া রয়েছে ‘মুক্তপাঠ’ নামক বাংলা ভাষায় সর্ব বৃহৎ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের মাঝে সহজ ও দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে উদ্ভাবন করা হয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা ‘কৃষি বাতায়ন’ এবং ‘কৃষক বন্ধু কলসেন্টার’। সরকারের বিভিন্ন কৃষিবিষয়ক সেবাগুলোর জন্য কলসেন্টার হিসেবে কাজ করছে ‘কৃষক বন্ধু কলসেন্টার’ (৩৩৩১ কলসেন্টার)।
এটুআই-এর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে স্পেশালাইড টেলিহেলথ সেন্টার। প্রবাসীদের জন্য চালু করা হয়েছে প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার। এটুআই, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদফতর নাগরিকদের স্বল্পমূল্যে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানে চালু হয়েছে ই-হেলথ্ সার্ভিস কো-অর্ডিনেশন ইউনিট।
বর্তমানে বাংলাদেশ আইসিটি খাতে রফতানি আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ আয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রযুক্তির বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। এ জন্য দেশব্যাপী ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ০৪টি পার্কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২১টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সাল হতে শুরু করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন পার্কে প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট স্পেস তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী ২০২১ এর মধ্যে দেশে আরও প্রায় ৯ লাখ বর্গফুট স্পেস তৈরি হবে। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানি কাজ করছে। এখানে মোবাইল ফোন সংযোজন, অপটিক্যাল ফাইবার, কিয়স্ক মেশিন, ডায়ালাইসিসি মেশিন সংযোজনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ-এর বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচীর আওতায় ইতোমধ্যে ১২ হাজারের অধিক জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৪০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ হতে আইওটি, ব্লকচেইন, রবোটিক্স ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারী-বেসরকারীভাবে গড়ে ওঠা ১২টি সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১০টি প্রতিষ্ঠান হাইটেক পার্কে ৩৮.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখানে সবার একটাই ইচ্ছা, তা হলো অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহার করা। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হাই-টেক পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আবার তথ্যপ্রযুক্তি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণ মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে স্বস্তি। এছাড়া এটুআই-এর সহায়তায় ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং-এর ফলে ব্যাংকিং কার্যক্রম পৌঁছে গেছে শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত। দেশের ই-কমার্স ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণ ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘একশপ’। যেখানে গ্রামীণ উৎপাদনকারীরা নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই।
‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে সরকারী সহায়তা লাভের পথও সুগম হচ্ছে। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার পর স্টার্টআপ মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সিড স্টেজে সর্বোচ্চ এক কোটি এবং গ্রোথ গাইডেড স্টার্টআপ রাউন্ডে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। ইতোমধ্যে শতাধিক স্টার্টআপকে সরকারীভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক এফ-কমার্সের ব্যাপক বিস্তৃতিতে মূলধারার ব্যবসায়ীরাও প্রযুক্তির সহায়তা নিতে এফ-কমার্সমুখী হচ্ছেন। এছাড়া ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাত প্রসারের ফলে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। আইসিটি বিভাগ তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার তৈরি করে আসছে। বর্তমান বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগাতে পারলে অচিরেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। যার ফলে স্থিতিশীলতা আসবে সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্যতম মাধ্যম তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ। সরকারের এ কর্মযজ্ঞ আরও সমৃদ্ধির পথে।