নিউজ ডেস্ক:
একটি মহল হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীকে নিয়েও গুজব সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে জানিয়েছে সরকারের একটি সংস্থা।
কোনো বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। যদি কেউ গুজব তৈরি করে বা গুজব ছড়ায় তাকে সরকার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনবে।
সরকারের একটি সংস্থা রোববার রাতে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গুজবে কান দেবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। গুজবকারীকে চিহ্নিত করুন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সরকার তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে।
রোববার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতেও কোনো ধরনের কোনো গুজব বা উসকানিমূলক বক্তব্যে কান না দেওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘গুজব সৃষ্টিকারী সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে তা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মসজিদে তর্কাতর্কির পর পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা ও দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি। পরিচিতজনরা বলছেন, তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন।
নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান।
সর্বশেষ রোববার বিকেলে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে কুমিল্লার মুরাদনগরে সাতটি ঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা এর আগেও হয়েছে। কক্সবাজারের রামুতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক হামলা হয়েছে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা কথা ছড়িয়ে। সড়ক আন্দোলনের সময়ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
একটি মহল হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীকে নিয়েও গুজব সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।