নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদেশগামীদের করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য আরও ১০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করেছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদেশগামীদের করোনার পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি), ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস (সোবহানবাগ) ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতাল, মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকলেজ কলেজ হাসপাতাল (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) ছাড়াও আইদেশি, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্কয়ার হাসপাতাল, এভার কেয়ার হাসপাতাল (সাবেক অ্যাপোলো), বনানীর প্রাভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকেও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোভিড-১৯ মুক্ত হওয়ার সনদ দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে প্রদর্শন করলে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
২৩ জুলাই বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে বিদেশ
গমনকারীদের জন্য করোনা পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক করে সরকার। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটের অস্থায়ী বুথে করোনার নমুনা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে ১৩ জেলায় সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনদের তত্ত্বাবধানে আজ (বুধবার) থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অনেক দেশে যেতে যাত্রীকে ফ্লাইটে যাওয়ার আগে নেগেটিভ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়। তবে কয়েকটি দেশে যেতে এই সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। আবার কয়েকটি দেশে পৌঁছানোর পর যাত্রীর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগে। যেমন- সিঙ্গাপুর যেতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। যাত্রীরা দেশটিতে পৌঁছানোর পর করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হয়।
ফ্লাইটে যাওয়ার আগে করোনা নেগেটিভ পরীক্ষা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করার নিয়ম করেছে বেশির ভাগ দেশ। তবে সৌদি আরব ৪৮ ঘণ্টার বিধান করায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।