নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পাগলারমুখ মালিঝি নদীর বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ ৩ বছরেও সংস্কার হয়নি। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাগলারমুখ তিনানী রাস্তার মালিঝি নদীর এ বেড়ীবাঁধটি ২০১৭ সালে অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যোগাযোগব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। এ সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছ পথচারীদের।
ঘাগড়া কামার পাড়া গ্রামের শামসুল হক, শফিউল্লাহ, আলামিন, আয়বালীসহ আরো অনেকেই জানান, এ পথে হাতীবান্ধা, ঘাগড়া কামারপাড়া, প্রধান পাড়া, মিরপাড়া, চকপাড়া, মোল্লাপাড়া, পাগলারমুখ, পাগলারপাড়, তিনানী, সুরিহারা, বেলতলী, কাঠালতলী সহ প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষ এ পথে যাতায়াত করে থাকে।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন জানান, বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধটি সংস্কারের অভাবে এ পথে যাতায়াতকারী শত শত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছেন না। গবাদিপশু পারাপারে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের। কোমলমতি শিশু কিশোররা স্কুল কলেজে যাতায়াতের সময় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিধ্বস্ত বেরিবাধেঁর ভাঙা অংশ দিয়ে পানির সাথে বালু প্রবেশ করে ফসলি জমি চাষ আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দোলা জানান, বিধ্বস্ত বাধঁটি সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন সময় উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনাও হয়েছে কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, বাধঁটি নদীর পাড় ঘেঁষে হওয়ায় এল জি ই ডি এর পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম এ ওয়ারেছ নাঈম বলেন, বেড়ী বাঁধটি সংস্কারের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে অতি তাড়াতাড়ি বাঁধটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।