ভালোবাসার সুখ সায়র
আমার অন্তরীক্ষের ময়ূরকণ্ঠী নীলের ললাটে,
তুমি যখন রক্ত জবার রঙ ঢেলে দাও।
আমি তখন অদ্ভুত বিস্ময়ে আবিষ্কার করি,
তোমার মনের রংধনু আবিরের কাব্যিক প্রক্ষেপণ।
বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রাখা তোমার অপেক্ষার পাণ্ডুলিপি থেকে,
তুলে নেই তোমার প্রণয় চিঠির কোলাজ।
হাত ঘড়িতে সময় আঁটকে রেখে,
তুমি আমায় যতই তোমার করে চাও।
আমার সময় গড়িয়ে পড়ে কেবলই তোমার ভালোবাসার অবেলায়।
কমলা লালের গভীর অনুরাগের উপলব্ধি মিশিয়ে,
তোমার কলমের শরীরে আমি হাঁটি।
আমি তোমার বুকের পাঁজরে প্রণয় অক্ষর আকৃতির মায়া সাজাই,
মায়া সাজাই ময়ূর পালকের আদুরে আবৃত্তিতে।
আমার প্রতিটি চিঠির হৃদপিণ্ডে হামলা চালায়,
বিখ্যাত সব লেখকের সৃষ্টিশীল চারুকলা,
আর তোমার একান্ত মনের নেশাতুর কিছু ভালোবাসা।
তথাপি আমি অনর্গল আমার একান্ত অনুরাগের অনুরণনে,
পৃথিবীর সূক্ষ্মাতি সূক্ষ্ম প্রণয় উপলব্ধির প্রার্থনা যুক্ত করি।
আর নিয়ত অবগাহন করি তোমার উজ্জীবিত ভালোবাসার সুখ সায়র।
যেখানে আমার নামেই তোমার নামকরণ,
আমার প্রচ্ছদেই তুমি নামক তরতাজা ভালোবাসার পাণ্ডুলিপি।
তোমাতে অবগাহন করে আমার সকাল হাসে,
আমার দুপুর গড়ায়।
আমার সন্ধ্যা বাতির সলতের বুক চিঁড়ে,
তোমার মনের চৌকাঠে লুটিয়ে পড়ে,
আমার বেহিসাবি ভালোবাসার চাঁদনী পসর।
যার সুখ সায়রে লুটোপুটি খায়,
তোমার সমর্পিত সুগন্ধি অনুরাগের অনুরণন।
এভাবেই তোমার নিরন্তর প্রেম আমার ঠোঁটের ক্যানভাসে এঁকে যায়,
সহস্র গোলাপি নদীর নকশা।
লেখিকা: নাজীন নাহার