নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিতার পরিণতির দিকে যেতে হয় কিনা(?) সে আশঙ্কায় কোটি টাকার সম্পদ কেড়ে নিয়ে বস্তিতে পাঠানো হাসান আলী ও তার ভাই বোনদের। প্রায় তিন যুগ পর সোমবার নিজেদের জমি বুঝে নেওয়ার পরে রাত থেকে শুরু হয় হুমকি। বাড়ির সামনে অজ্ঞাত লোকদের গালিগালাজ ও নানা ধরনের হুমকিতে নির্ঘুম রাত কাটে হাসান ও তার স্বজনদের। আর তাই মঙ্গলবার থানায় দায়ের করেন জিডি।
জিডিতে অভিযুক্ত করেন রহমত আলী পিকের ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে। বাবা হযরত আলীর মতো পরিণতি ভোগ করতে হয় কিনা (?) এ আতঙ্কে এখন দিন কাটছে সন্তানদেরও।
সন্তানদের অভিযোগ নিজের জমি হারিয়ে এক পর্যায়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন হযরত আলী। ২০১৮সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লাঠি ভর দিয়ে দখল হওয়া জমির সামনে এসে বসে থাকতেন বৃদ্ধ হযরত আলী। সেই করুন ও অতৃপ্ত মন নিয়ে আজ চলে গেছেন পরাপারে। রেখে গেছেন এক বুক হতাশা আর অভিশাপ। অতৃপ্ত আত্মার প্রশান্তি আর নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তার সন্তানরা। এদেরও অনেকের পাক ধরেছে চুলে। কিন্তু হাল ছাড়েনি। সে কারণে মরিয়া এই পরিবারটি চালিয়ে যেতে চাই সংগ্রাম- ঘোষণা দেন মৃত হযরত আলীর ছোট মেয়ে আনোয়ারা। মঙ্গলবার দুপুরে আনোয়ারা নাটোর সদর থানায় জিডি করেন তার পরিবারের উপর ক্ষতির আশঙ্কায়।
তিনি অভিযোগ করেন সোমবার রাতে অজ্ঞাত লোকজন তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গালিগালাজ সহ তাদের দখলে থাকা শেষ সম্বল জমিটি আবার কেড়ে নেবে বলে হযরত পরিবারকে হুমকি দেয়। নিজের পৌত্রিক সম্পত্তি দাবি করে গত সোমবার বড় হরিশপুর বাইপাস সংলগ্ন ১একর ৪৬শতাংশ জমি দখলে নেয়, মৃত হযরত আলীর সন্তানরা। আর এরপর পর থেকেই ক্ষেপে যায় ভূমিদস্যু পিকে পরিবার। আর সে রাত থেকে শুরু হয় হযরত পরিবারের সদস্যদের হুমকি।
মৃত হযরত আলীর ছেলে হাসান আলী অভিযোগ করেন, ১৯৭৩ সালে বড়হরিশপুর এলাকার বর্তমান বাইপাস সংলগ্ন জমিটি প্রয়াত অনাদী নাথ চক্রবর্তী পরিবারের কাজ থেকে কেনার পরই সেটি দখল নিতে তৎকালীন প্রভাবশালী এলাকার ভূমিদস্যু রহমান পিকে হযরত পরিবারের উপরে চালায় নানা নির্যাতন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে বিভিন্ন কায়দায় ১২শতাংশ জায়গা লিখে দেয় নিরীহ হযরত আলী। কিন্তু তাতেও শেষ সম্বল টুকু রক্ষা করতে পারেনি হযরত আলী। ১২শতাংশ জায়গা নেওয়ার পরে পুরো জায়গাটি হযরত আলীর কাছ থেকে জোরপূর্বক দখল করে নেয় ভুমিদস্যুরা। আর এভাবেই হযরত আলী উচ্ছেদ হয়ে ভূমিহীন হয়ে যায়। তার ঠিকানা হয় রামাইগাছি এলাকার গুচ্ছোগ্রামে। জীবন বাঁচাতে সে সময় ছোট ছোট ছেলে ও মেয়ে নিয়ে প্রাণ ভয়ে হযরত আলী আশ্রয় হয় বস্তিতে। এসব জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হযরত আলীর ছেলে হাসান ও মেয়ে আনোয়ারা।
তারা জানান, পিক পরিবারের জন্য ভাই-বোনসহ পরিবারের প্রায় সকল সদস্য আজ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে চরম দারিদ্রের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তারা আজ ক্ষতিপূরণ চান রহমত পিকে পরিবারের কাছ থেকে। এদিকে পিকে পরিবারের সদস্যরা জমিটি তাদের তালিকা সম্পত্তি বলে দাবি করেন।
তারা আরো বলেন, একটি বিশেষ মহল চক্রান্ত ও অপপ্রচার করে তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে প্রকৃতপক্ষে প্রতিপক্ষের অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলে তারা দাবি করেন।
আরও দেখুন
সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,…………নাটোরের সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সিংড়া …