নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারনে লোকশানের আশঙ্কায় মহারশী নদীর বালুমহলের ইজারাদার আল-আমিন। দীর্ঘদিন পর টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেয়া হয় মহারশী নদীর বালু মহল। ২০২০ সালে ইজারাদার আল-আমিন এ বালু মহলটি ইজারা লাভ করেন। তিনি ইজারা নেয়ার পর পরই দেশে করোনা পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারন করে। শুরু হয় লকডাউন। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতির কারনে বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করতে পারেননি ইজারাদার। পাশাপাশি সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে বৈধ ইজারাদার হয়েও লোকশানের আশঙ্কায় ভুগছেন ইজারাদার আল-আমিন।
ইজারাদার আল-আমিন জানান, তিনি মহারশী নদীর বালু মহলের বৈধ ইজারাদার হলেও করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির কারনে নিয়মিত বালু উত্তোলন ও বিক্রয় করতে পারছেন না। যতটুকুও উত্তোলন ও বিক্রি করার সম্ভাবনা ছিল তবুও আবার বালু দস্যুরা সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করার কারনে তার বালুর চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। অপরদিকে মহারশী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাখার জায়গা না থাকায় বিপাকে রয়েছেন তিনি।
আল-আমিন জানান, নদীর দুপাড়ে বনবিভাগের জমি থাকায় তারা তা ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। ফলে বালু উত্তোলনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন তার লোকজন। এতে তিনি লোকশানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আরও দেখুন
মিথ্যা মামলা থেকে খালাস বাগাতিপাড়ার দুই সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মারামারি ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন দুই সাংবাদিক। রবিবার …