নিজস্ব প্রতিবেদক, সিংড়া:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার দুখি মানুষের বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশের সকল মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন। ১৫ আগষ্টের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
৭৫ এরপর ৯৬ সাল মানুষকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছিলো। ইতিহাসকে হত্যা করা হয়েছিলো, মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিলো। দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামীলীগকে নিয়ে অপপ্রচার করা হতো। নৌকায় ভোট দিলে ইসলাম থাকবে না, মসজিদে আযান হবে না, দেশ ভারত হবে এসব অপপ্রচার করা হতো। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাটি মুসলমান ছিলেন। তিনি ইজতেমায় জমি দান করেছিলেন। কওমী মাদ্রাসা বোর্ড গঠন করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু মূত্যুর মুখে ও আপোষ করেননি। সাহসীকতা, সততা এবং আদর্শের কাছে সারাবিশ্ব স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলো তিনি বঙ্গবন্ধু। শোকাবহ আগষ্ট মাসে শোককে শক্তিতে পরিনত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বারবার যারা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। ষড়যন্ত্রের কাছে আমরা মাথানত করবো না, করিনি। বিগত দিনে সিংড়া উন্নয়ন হয়নি, মিথ্যা প্রতিশ্রতি দেয়া হয়েছে। জনগনকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। বিগত ১২ বছরে আমরা সিংড়া উপজেলার অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন করেছি। আজ যেখানে প্রোগ্রাম হচ্ছে, রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ, অত্র এলাকায় শেখ হাসিনা সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
সুকাশের বামিহাল মাদ্রাসা, কাকিয়ান মাদ্রাসা, নিশ্চিন্তপুর, দুর্গাপুর স্কুল, কালভার্ট, সেতু সহ সকল উন্নয়ন বর্তমান সরকারের। বিএনপি জোট সরকারের সময় সুকাশে ভয়াবহ অবস্থা ছিলো, মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। দিনে দুপুরে ডাকাতি হয়েছে। অন্যায় প্রতিবাদ করার সাহস মানুষের ছিলো না। মানুষ বিচার পেত না। রক্ত নিয়ে মানুষের হোলি খেলা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, হামলা, মামলা, খুন হত্যা করে মানুষের জীবন কে দুর্বিসহ করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। বামিহালে ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের সময় পুলিশ ফাঁড়ি লুট করা হয়েছিলো। আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিলো। সে দু:সময় এখন আর নাই।
বর্তমান সরকার মানুষকে উন্নয়ন ও সুশাসন উপহার দিয়েছিলেন। ৩৭ বছর সিংড়া উপজেলা ছিলো বিএনপির ঘাটি। এখন নৌকার ঘাটিতে পরিনত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী সোমবার দুপুরে সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল রহমত ইকবাল অনার্স কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সুকাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হালিম হাসমতের পরিচালনায় শোক সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক ও ইটালী ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক ও তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, সুকাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, ডাহিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা, কলম ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল হক চুনু, চামারী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা হক রোজিসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।