রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / স্বাধীনতার ৪০বছর পার হলেও কাঁচা সড়ক পাকা হয়নি জন-দূর্ভোগে হাজারো মানুষ

স্বাধীনতার ৪০বছর পার হলেও কাঁচা সড়ক পাকা হয়নি জন-দূর্ভোগে হাজারো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম পাঁচপুরুলিয়া। এই গ্রামের অর্ন্তভুক্ত ডোবার পাড়া। এই ডোবার পাড়ায় হাজারো মানুষের বসবাস। হাজারো মানুষের চলাচলের একটিমাত্র সড়ক। সেটা কাঁচা সড়ক। যা উপজেলার এলজিইডি গ্রামীন “এ”সড়কের তালিকাভুক্ত ৪কিমিঃ সড়ক।

স্বাধীনতার ৪০বছর পার হলেও আজও পাকাকরন হয়নী। কাঁচা সড়কটি আবার দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কদমাক্ত হয়ে যাওয়ায় চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে উঠে। এতে নানা দূর্ভোগের পড়তে হয় এলাকাবাসীর। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে রাস্তাটি পাকাকরণে আশ্বাস দিলেও এর সুফল পায়নী এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নাজিপুর ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত এই ডোবার পাড়ার সড়কটির একপাশ ঘেষেঁ গড়ে উঠেছে প্রায় ১০হাজার লোকের আবাসস্থল। এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিপণ্য ও পুকুর চাষের উপর নির্ভরশীল। ইউনিয়ন জুড়ে সকল রাস্তা পাকাকরণ হলেও ডোবার পাড়ার একমাত্র এল.জি.ই.ডি কাঁচা সড়কটি স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত অবস্থায়ই রয়েছে। রাস্তাটি নাজিরপুরের ব্যবসা-বাণিজ্যের মেইন রাস্তার সাথে যুক্ত রয়েছে।

কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার কাজ না হওয়ায় জায়গায় জায়গায় মাটি উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যা সামান্য বৃষ্টি হলেই জয়গায় জায়গায় পানি জমাট হওয়ার পাশাপাশি পুরো রাস্তায় কাঁদায় কদমাক্ত হয়। রাস্তাটিতে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে উঠে। কিন্তু মানুষের চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা হওয়ায় জীবন জীবিকার প্রয়োজনে বাধ্য হয়েই চলতে হয় সেই রাস্তা দিয়ে। তাই প্রতিনিয়ত নানা দূর্ভোগের স্বীকার হতে হয়। অপর পাশে রয়েছে পাঁচপুরুলিয়া বিল। সেই বিলে সারাবছর ফলে নানা ফসলাদি। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বিলের সেই ফসলাদি সঠিক সময়ে ঘরে তুলতেও বেগ পেতে হয়।

এলাকার মাজিদুল ইসলাসসহ আরও কয়েকজন জানান, দেশ স্বাধীনের ৪০বছর পার হলেও এই রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায়ই রয়েছে। স্বাধীনের পর এই রাস্তার কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নী, এমনকি কাউকে উন্নয়নের জন্য কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে দেখা যায়নী। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি কদমাক্ত হয়। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁচা রাস্তাটি কদমাক্ত হয়ে ভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কদমাক্ত থাকায় পুকুরের মাছ তুলতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কখনও কখনও মূমুর্ষ রোগীকে এই রাস্তা থেকে মেইন রোডে নিতে নিতে রোগীটি মারা যায়। তাই স্থানীয় প্রশাসনের নিকট রাস্তাটি দ্রত সংস্কার ও পাঁকাকরনের দাবী জানান এলাকাবাসী।

এলাকার সমাজসেবক হাফিজুর রহমান জানান, এই ডোবার পাড়া বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা দুটোই বলা যায়। সড়কটি কাঁচা সড়ক হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত প্রচন্ড দূর্ভোগ পোহাতে হয়। জনপ্রতিনিধির কাছের অনুরোধ করে বলেন, এই ডোবার পাড়ায় বসবাসরত মানুষ আপনাদের কাছে ভাত মাছ চাই না, তাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি চাই পাকাকরণ।

স্থানীয় উপজেলা এল.জি.ই.ডি প্রকৌশলী অ.ন.ম ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় ১৭৯টি গ্রামীন সড়ক, উপজেলা সড়ক ও ইউনিয়ন সড়ক এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়ে থাকে। এই রাস্তাটি এলজিইডি গ্রামীন সড়কে “এ”সড়কের তালিকাভুক্ত যা নাজিরপুর ইউনিয়নের পাঁচপুরুলিয়া গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় এমপি মহোদয়ের পরামর্শে রাস্তাটি পাকাকরন বাস্তবায়নে কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করব।

আরও দেখুন

লালপুরে  শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শনিবার  (৫ অক্টোবর ) নাটোরের লালপুর উপজেলার কলস নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে  সকাল …