নিউজ ডেস্ক:
জীবনের তাগিদে লড়ছে মানুষ। করোনা দুর্যোগে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলেও ধীরে ধীরে এই সঙ্কট কাটিয়ে স্বকীয়তায় ফিরছে। ফলে দেশের কৃষি খাতেও ক্ষতি কাটিয়ে কৃষকরা এখন বেশ সরব। বৈশ্বিক এই মহামারীর পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষি খাতে বৈপ্লবিক গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বে সবজি উৎপাদনে জনবহুল বাংলাদেশ এখন তৃতীয় অবস্থানে। কেবল সবজিই নয় ধান উৎপাদনেও বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। সেই সাথে আম চাষে সপ্তম এবং আলু উৎপাদনে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। এসবের নেপথ্যে রয়েছে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ। ফলে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি খাত। বিশ্ব পরিমন্ডলে যা এখন দৃষ্টান্ত।
জানা যায়, কৃষি খাতে শিক্ষিত তরুণরা এখন যোগ দিচ্ছেন। ফলে কৃষি খাত আগের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। এছাড়াও বর্তমান সরকার নানা ধরনের সহায়তা করায় কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যার প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে। এই উৎপাদন দেশের ভাবমর্যাদাকে উজ্জ্বল করেছে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার নানাভাবে প্রণোদনা এবং জামানতবিহীন কৃষি ঋণ দিচ্ছে অল্প সুদে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সরকারের সদিচ্ছার কারণে কৃষি সেক্টরে দিনের পর দিন বিপ্লব ঘটছে। প্রতিক‚ল পরিস্থিতি ও চাহিদা মাথায় রেখে প্রতিদিনই চলছে নতুন নতুন গবেষণা। বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। ফলে চলতি সময়ের বন্যায় এবার হাওড় এলাকায় ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। কারণ বন্যার আভাস পেয়েই সঠিক সময়ে ফসল ঘরে তুলতে কৃষকদের দেয়া হয়েছে প্রযুক্তিগত নানা সহযোগিতা।
সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কৃষকরা ঋণ পাচ্ছেন। সারের দাম কমানো হয়েছে। দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা। সেই সাথে কৃষি শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলায় আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। ফলে করোনা সঙ্কট কাটিয়ে দেশে কৃষি ও কৃষক এখন আগের চেয়েও সরব।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দেশে মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান এখন ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণ সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ গ্রহণ করা হয়েছে। এর আলোকে জাতীয় কৃৃষিনীতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০সহ বেশ কিছু পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নানা পদক্ষেপের ফলে কৃষি এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হয়েছে। এর ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে দেশের অবস্থান এখন ১০ম। এছাড়া আরও দুই কোটি আট লাখের বেশি কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেয়া হয়েছে। ডাল, তেলবীজ, মসলা ও ভুট্টাসহ ২৪ ধরনের ফসল চাষে কৃষকদের ৪ শতাংশ হারে ঋণ দেয়া হয়েছে। কৃষককে উৎসাহিত করতে সারের মূল্য কমানো হয়েছে চার দফা।
বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উপকেন্দ্র সুনামগঞ্জের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফরহাদ হোসেন জানান, করোনা সঙ্কটের মধ্যেও কৃষি বিজ্ঞানীরা তৎপর রয়েছেন। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত রয়েছে। ফলে এবারের বন্যা হাওড় এলাকার কৃষকদের ক্ষতি করতে পারেনি। সেই সাথে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বীজ সহায়তা দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনাসহ খালি জায়গাগুলো ফসল চাষে উপযোগী করে তুলতে কৃষকদের সাথে মাঠে কাজ করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
আরও দেখুন
নাটোরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রামে,,,,,,,,,,নাটোরের বড়াইগ্রামে এক স্বামীকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে …