শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুরে হট্টগোলের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিল প্রশাসন

লালপুরে হট্টগোলের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিল প্রশাসন


নাটোরের লালপুরে ২ সংবাদ কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর: লালপুর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার ছবি তোলার অপরাধে স্থানীয় ২ সংবাদ কর্মীর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে শুরু হয় মাসিক সাধারণ সভা। সভায় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইসাহক আলী সহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা চলাবস্থায় করোনাকালীন ত্রাণের অনিয়ম ও টিআর কাবিখার অনিয়ম নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত দৈনিক ভোরের দর্পনের লালপুর প্রতিনিধি নাহিদ হোসেন ও অনলাইন সংবাদ কর্মী ইউসুফ আলী তাদের মোবাইলে হট্টগোল ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই ২ সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে মাইকে এলাউন্স করায় প্রশাসনের কর্মচারীরা ওই ২ সংবাদ কর্মীর মোবাইল কেড়ে নিয়ে ইউএনওর কাছে জমা দেন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান,মাসিক সাধারণ সভায় করোনাকালীন ত্রাণ ও বিভিন্ন কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে উচ্চ বাক্য বিতর্ক শুরু হয়। ২ সংবাদ কর্মী সেগুলো তাদের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পরিষদের কর্মচারীরা তাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেন।

স্থানীয় দুই সাংবাদিকের মোবাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কেড়ে নিলে তারা দুইজন বৃহস্পতিবার নাটোরের সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে এঘটনা অবগত করেন।

সভায় উপস্থিত নাটোর-০১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, সেখানে ভিডিও করতে নিষেধ করা হয়েছিলো। তবে মোবাইল কেড়ে নেয়ার বিষয়টি তার জানা নাই বলে জানান।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ওই দুই জন সাংবাদিক কি না তা তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। এছাড়া আইনশৃংখলা সভা চলছিল। তারা এ সভার সদস্য নন। সে কারণে মিটিং চলার সময় তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় পরে মিটিং শেষে মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের খুজে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি আরো জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তারা মোবাইল নিতে আসেনি।

এদিকে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।চলমান করোনা সংকটে প্রশাসনের সাথে কাজ করে চলেছেন সংবাদ কর্মীরা।এসময়ে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটাই উত্তম ছিল বলে মনে করেণ তারা।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …