রবিবার , অক্টোবর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / ই-লার্নিং / বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বড় বিনিয়োগ

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বড় বিনিয়োগ


বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বড় বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান হবে ২০০০


নিউজ ডেস্ক:
বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বড় বিনিয়োগ করছে ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড।

ওই সিটির ব্লক-২ এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে ওরিক্স বায়োটেক। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ পাবে। একই সঙ্গে প্রায় ২০০০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বায়োপ্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে দেশ।

প্রাথমিকভাবে ওরিক্স বায়োটেক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটি দিয়ে ওরিক্স বায়োটেক বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বছরে ১২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে চায়, যার সাথে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়োটেক পণ্য সহজলভ্য হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ করোনা মোকাবেলায় যে ভূমিকা রেখেছে তা দেশের সর্বস্তরে প্রশংসিত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে বিভাগটি। লাইভ করোনা টেস্ট, কোভিড-১৯ ট্র্যাকার, টেলি-মেডিসিন ও টেলিহেলথ, সহযোদ্ধা-প্লাজমা প্লাটফর্ম ইত্যাদি বহু উদ্যোগের সুফল পেয়েছে দেশবাসী। এর থেকেই একটি দেশের আইসিটি খাতের অগ্রগতির চিত্র সুস্পষ্ট।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, কালিয়াকৈরে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’ দেশের প্রথম ও বৃহত্তম হাইটেক পার্ক। ২০১৪ সালে আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ সরেজমিনে এই পার্কটি পরিদর্শন করে পার্কের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি জানান, ৩৫৫ একর জমিতে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি’-তে বর্তমানে ৩৭টি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৫টি কোম্পানি উৎপাদন শুরু করেছে। কোম্পানিগুলো এই পার্কে মোবাইল ফোন এসেম্বলিং ও উৎপাদন, অপটিকাল কেবল, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ডেটাসেন্টার প্রভৃতি উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবে। ইতোমধ্যে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে এবং প্রায় ১৩ হাজার জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী ২০২৫ সনের মধ্যে হাই-টেক পার্কগুলোতে ২৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে আমরা আশাবাদী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।

অনষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ একেবারে ন্যূনতম জনবল নিয়েও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

ওরিক্স বায়োটেকের চেয়ারম্যান কাজী শাকিল এবং সামিট টেকনোপলিশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইটেক পার্ক স্থাপনে প্রশিক্ষণ পাবে ৩০ হাজার 

হাইটেক সিটিতে ওরিক্স বিনিয়োগ করবে ৩০ কোটি ডলার 

১৩ হাইটেক পার্কে সি‌নেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে : পলক

আরও দেখুন

নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বড়াইগ্রামে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত 

  নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষকের কন্ঠস্বর, শিক্ষায় একটি নতুন সামাজিক অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নাটোরের বড়াইগ্রামে …