নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
লালপুরের কলেজ মোড় সন্নিকটের মাদ্রাসা সংলগ্ন জোত দৈবকী গ্রামের অসুস্থ বিধবা মরিজান বেগম (৬৫) ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন চালায়। স্বামী মৃত আছমত আলীর বাড়ি ছিল বাথানবাড়িয়া। ১৯৮৩ সালের দিকে বিলশলিয়ায় দিন নজুরীর কাজ নেয় এবং সেখানে অন্যের জমিতে অস্থায়ী বসতি করে স্ত্রী মরিজান ও ৩ মেয়ে নিয়ে বাস করতে থাকে।
১৯৯৭ সালের দিকে তারা লালপুরের জোত দৈবকী গ্রামে স্থায়ী বসতি গড়ে তোলার কিছুকাল পর স্বামী আছমত আলী মারা যায়। ফলে অহায় সম্বলহীন অসুস্থ মরিজান বেগম পেটের দায়ে অথৈ সাগরে পড়ে যায়। অন্য কোনো উপায় না থাকায় সংসার চালাতে অসুস্থ শরীরে ভিক্ষাবৃত্তির পেশা বেছে নেয়। সে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা বা অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা পায় না।
সে জানে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সরকার এসব মানবিক সহায়তা দেয়। এখন এগুলো নাগরিকদের অধিকার। তাই সরকারী সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে ধরণা দিয়ে কাজ হয়নি। করোনা মোকাবেলায় বিপন্ন মানুষের প্রতি সরকারে মানবিক ত্রাণ সহায়তা, এমনকি কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত সহযোগিতাও সে পায়নি। ততবির করে কাউকে নেক নজরে আনার কৌশল, যোগ্যতা বা উপার কিছুই নিরক্ষর এই বিধবা নারীর জানা নাই।
স্থানীয় সরকার লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে প্রশ্ন: এই বিধবা নারী যদি বিধবা ভাতা বা বয়স্ক ভাতা পাবার অধিকারী হয়, তবে তাকে এর আওতায় আনার কোনো উদ্যেগ গ্রহণ করবেন কি?