নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম:
বগুড়ার নন্দীগ্রামে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে নাগরনদী বাঁধ সংষ্কার কাজ হচ্ছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়ন ও ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম পাশ দিয়ে রয়েছে নাগর নদী। প্রতিবছর এ নদীর পানি বৃদ্ধিতে বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংষ্কার কাজ করা হয়ে থাকে।
কিছুদিন আগে গুলিয়া গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কার কাজ করেছে। কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে বাঁধের ছোট আকারের ভাঙন দেখা দেয়। এতে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এই বাঁধ সংষ্কার কাজ শুরু করে। বাঁধের ভাঙন স্থানে বাঁশের প্যালাসাইটিং ও বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। বাঁধ সংস্কার করায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রতিদিনই নাগরনদীর পানি বাড়ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে ১০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ জরুরী ভিত্তিতে সংষ্কার কাজ শুরু করা হয়।
গুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেন বলেন, নাগরনদীর পানি প্রতিদিন বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংষ্কার করছে। তবে গুলিয়া হাটের উত্তরপাড়া নাগরনদীর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে। সেখানেও বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, নাগরনদীতে প্রতিদিন পানি বাড়ছে। এ ছাড়া কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে পানি বেড়ে বাঁধে ছোট আকারের ভাঙন দেখা দেয়। তাই নাগর নদীর ১০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে।