নিউজ ডেস্ক:
আত্মহত্যা করেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এ নায়কের ফ্যান ও অনুরাগীরা এটাকে খুন হিসেবে দাবি করতে শুরু করেন। আর এ জন্য তারা দায়ী করেন সালমান খান, করণ জোহর, সঞ্জয়লীলা বানসালি, একতা কাপুরসহ আরও অনেককে।
সুশান্তের মৃত্যুর তিন দিনের মাথাতেই বিহারের মুজাফফর আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল সালমান, করণ, বানসালি এবং একতা কাপুরের বিরুদ্ধে। বলিউডের এই চার খ্যাতনামা তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের স্বজনপোষণনীতির জন্যই সুশান্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কেন ছয় মাসের মধ্যে তার হাত থেকে পরপর বলিউডের ৭টি বড় বাজেটের সিনেমার প্রস্তাব চলে গিয়েছিল? কার ইশারায়? অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই এসব প্রশ্নে সরগরম নেটদুনিয়া।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষে তদন্তের মাঝেই বিহারে মামলা দায়ের করেছিলেন স্থানীয় আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। এবার মুজাফফরপুর আদালতের প্রধান বিচারপতি মুকেশ কুমার সেই মামলাই খারিজ করে দিলেন।
প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন যে, অভিযোগনামায় সুশান্তের মৃত্যুর কারণ হিসেবে যে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে, তা আদতেও আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট মামলায় সাক্ষীর তালিকায় বিভিন্ন বিশিষ্ট জনের পাশাপাশি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের নামও উল্লেখ করেছিলেন ওঝা। কঙ্গনা যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় নেপোটিজম নিয়ে সরব হয়েছিলেন, সেই কারণেই সম্ভবত ‘সাক্ষী’র তালিকায় তার নাম নেন মামলা দায়েরকারী আইনজীবী।
তবে মুজাফফরপুর আদালত মামলা খারিজ করে দিলেও কিন্তু এখানেই থেমে থাকছেন না আইনজীবী ওঝা। ক্ষুব্ধ সুরে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, এখানে মামলা খারিজ হলেও এরপর তিনি উচ্চতর আদালতের কাছে আবেদন জানাবেন। এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
প্রসঙ্গত, বিহার থেকে উঠে আসা অভিনেতা, খেলোয়াড়, রাজানৈতিক নেতামন্ত্রীদের অনেকেই সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে সরব হয়েছেন। দাবি তুলেছেন সিবিআই তদন্তের। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয় দুনিয়া থেকে রাজনীতিতে আসা মনোজ তিওয়াড়ি, শেখর সুমনসহ আরও অনেকে।
সূত্র: জাগো নিউজ