সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুরে ৬৩ বছরেও এমপিও হয়নি, সেই মাদ্রাসার স্বীকৃতি বাতিল হচ্ছে

লালপুরে ৬৩ বছরেও এমপিও হয়নি, সেই মাদ্রাসার স্বীকৃতি বাতিল হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
নাটোরের লালপুরের পানসীপাড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ৬৭ বছরেও এমপিও না হলেও দাখিল পরীক্ষায় কেউ পাস না করায় স্বীকৃতি বাতিল হচ্ছে। জানা যায়, কোনো শিক্ষার্থী পাস না করায় ৪৮ মাদ্রাসার একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল, পাঠদানের অনুমতি স্থগিত এবং ইআইআইএন নম্বর বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসাগুলোকে শোকজ করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে এসব মাদ্রাসাকে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। ১৫ জুন মাদ্রাসা পরিদর্শক কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক শোকজ নোটিশে, ২০২০ সালের দাখিল পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ায় ৪৮ মাদ্রাসাকে প্রাথমিকভাবে পাঠদানের অনুমতি স্থগিত বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল করে অনলাইন পাসওয়ার্ড, মাদ্রাসার ইআইআইএন কেন বন্ধ করা হবে না তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

তার মধ্যে লালপুরের ৬৩ বছরের পুরানো এ মাদ্রাসাটি রয়েছে। মদ্রাসাগুলোকে শোকজের জবাব নোটিশ পাওয়ার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।

লালপুর উপজেলার ৮ নং দুড়দুড়ীয়া ইউনিয়নে ১৯৫৭ সালে পানসীপাড়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা। মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বিস্তার শুরু হয়। এ মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করা অনেক ছাত্র শিক্ষকতা সহ নানা পেশায় কর্মরত আছে। এখানে চাকুরি করে অনেকে বিনা বেতনে অবসরে গেছেন, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

সরেজমিন মাদ্রাসাতে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে পুরানো আমলের ৩ টি আধাপাঁকা ভবন দা্ড়িয়ে আছে। ভবনের টিন নষ্ট হযে গেছে, দেখে বুঝার উপায় নাই ভবন গুলো কয়েক দিন আগেও ব্যবহার হয়েছে।

মাদ্রাসার শিক্ষক তালেব বলেন, বেতন ভাতা নাই, মাদ্রাসার ১৮ বিঘা জমি থাকলেও নদী গর্ভে রযেছে। ১৮ জন শিক্ষক -কর্মচারি থাকলেও নিয়মিত পাঠদান করা হয়না, তারা সংসার পরিচলনায় অন্যের জমিতে কৃষি কাজ, রাজমিস্ত্রির যোগানদারের কাজ করে ভাগাভাগি করে ক্লাসে পাঠদান করান। ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাদ্রাসার সুপার এবং এর পরিচালনা কমিটির কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি এলাকায় গিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি আছে কিনা এমনটা জানতে চাইলে এলাকাবাসীও জানাতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, পানসিপাড়া মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ এর জবাব আমার কাছে এখনো পর্যন্ত পৌঁছায়নি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিকট থেকে আমার কাছে কোন পত্র এলে অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …