মাসুম রেজা:
একটি শিশু কবে আর কিভাবে হাঁটতে শিখে তা আসলে কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। শুধুমাত্র পরিবারের মানুষগুলো তাকে সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করে। তেমনি এমন একজনের কথা আজ বলবো যিনি এমন একটা পরিবারে জন্মেছেন যেখানে দেশপ্রেম ও বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কোন অভাব ছিলোনা।
বাঙালি সংস্কৃতির যেসব উপাদান আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিংবা বিলুপ্তির পথে সেগুলোকে যতটা পারা যায় সংগ্রহ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে তার চর্চা চালিয়ে যাওয়াই ‘বাঙ্গালা’র মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই বাঙ্গালা’র সত্বাধিকারী সাহাদ শরীফ। তাঁর বাবা (প্রয়াত কবি জাহাঙ্গীরুল ইসলাম) ছিলেন একজন কবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব। তাঁর চাচা প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক (জামিরুল ইসলাম শরীফ) যিনি বর্তমানে খুবই অসুস্থ, তবুও তিনি সর্বক্ষণ বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে বিশেষ গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন। কথায় বলে বাপ দাদার রক্ত পরবর্তী প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাবা-চাচাদের অস্থি-মজ্জায় থাকা সংস্কৃতি চর্চার স্পৃহা থেকেই সাহাদ শরীফের এমন উদ্যোগ। সে অনুপ্রেরণা থেকে২০১৯ সালে অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশ ঘটে ‘বাঙ্গালা’র।
‘বাঙ্গালা’ বাংলাদেশের একটি সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এটি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে চর্চা করার একটি স্থান যা ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত করছে। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙ্গালীদের সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক চিন্তা চেতনার প্রকাশ ও ভাববিনিময়ের মাধ্যমে বাঙালীয়ানার সমৃদ্ধি ঘটানো এই পেজ এর মূল লক্ষ্য।
সম্পূর্ণ অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ‘বাঙ্গালা’ তার কার্যক্রম চালিয়ে করে থাকে। বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তির যুগে খুব সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও মেলবন্ধন তৈরীর সুযোগ গ্রহণ করে ‘বাঙ্গালা’ বাংলা সংস্কৃতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির প্রচেষ্টা নিরলসভাবে চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
যারা বাঙ্গালা’র সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা হলেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংবাদকর্মী সৈয়দ মাসুম রেজা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, অভিনেতা ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মামুন রেজা, গ্রাফিক্স ডিজাইনার নাঈমুল ইসলাম তিতাস, উপস্থাপিকা ও আবৃত্তিকার শরীফা জামান, কথাবন্ধু(আর জ) জুবায়ের এবং চিত্রশিল্পী তন্বী ।