নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে ২০০৫ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “হাইড্রোগ্রাফি- স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির উৎকর্ষতায়”
বিশ্ব অর্থনীতির উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বাজারজাত করতে সাগর-মহাসাগর অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা নব্বই ভাগের বেশি মালামাল সমুদ্র পথে পরিবহন করা হয়। সমুদ্রে এসব জাহাজের নিরাপদ চলাচলের জন্য সমুদ্রের তলদেশ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিসেস সমুদ্রে নিরাপদ চলাচলের লক্ষ্যে নটিক্যাল চার্ট ও পাবলিকেশন্সের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া সমুদ্র তলদেশের আকৃতি-প্রকৃতি ও বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, ড্রেজিং, অফশোর কন্সট্রাকশন, ক্যাবলস ও পাইপলাইন স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন্স, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান, সামুদ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, অ্যাকুয়াকালচার, ফিশিং, বায়োমেডিসিন, সমুদ্র পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যা একদিকে অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অনেক বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে
প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সমুদ্রে নিরাপদ নেভিগেশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের নটিক্যাল চার্ট তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। নৌবাহিনীর তৈরি করা চার্টসমূহ সারাবিশ্বের মেরিনাররা তাদের বাণিজ্যিক জাহাজগুলো সমুদ্রে নেভিগেশনের জন্য ব্যবহার করছে।
এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইলেকট্রনিক নেভিগেশনাল চার্ট তৈরির সামর্থ্য অর্জন করেছে যা সারাবিশ্বের মেরিনারদের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া চলছে। এর ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক বাণিজ্য প্রসারে ও নিরাপদ নেভিগেশনে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।