নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে করুণা পরিস্থিতিতে দূর্ভোগে পড়েছেন সবজী চাষীরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার কৃষক সবজী চাষ করছেন। সবজী চাষের উপর নির্ভরশীল এসব প্রান্তিক চাষীরা। সবজী চাষ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তারা। কিন্তু চলতি মৌসুমে সবজী উৎপাদন শুরুতেই করোনা পরিস্থিতিতে দেশে শুরু হয় লকডাউন।
ফলে উৎপাদিত সবজী নিয়ে বিপাকে পড়ে চাষীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত সবজী বাজারজাত করতে পারেননি কৃষকরা।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনুসন্ধানে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব দুর্ভোগের বিষয় জানা গেছে। বাকাকুড়া গ্রামের সবজী চাষী নবাব আলী জানান, তিনি ঋণ ধার করে প্রায় এক একর জমিতে সবজি চাষ করেন। কিন্তু উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে না পেরে খেতেই তার পুরো সবজি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে তিনি এখন রয়েছেন চরম বিপাকে। না পারছেন ঋণ পরিশোধ করতে, না পারছেন পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ জোগাতে।
গোমরা গ্রামের বজলু মিয়া ও আন্জুয়ারা বেওয়া জানান, তারা উভয়েই ৩০ শতাংশ করে জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন। সবজি উৎপাদন হলেও স্বল্পমূল্যে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে বিক্রি করতে হয়েছে এসব সবজি। এছাড়া বিক্রি করতে না পারায় খেতেই পচে নষ্ট হয়েছে সবজি। এতে উৎপাদন খরচ উঠেনি তাদের। সন্ধ্যাকুড়া গ্রামের কৃষক আবু তালেব গোমড়া গ্রামের আবুল কাশেম, আব্দুল করিম, জামাল ভান্ডারী সহ আরো অনেকেই জানান,লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার পূর্বেই গত ২৪মে কালবৈশাখীর ছোবলে তাদের সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।
বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে তাদের সবজির মাচা। জোড়াতালি দিয়ে আবারো ওই সবজি ক্ষেত দাঁড় করানো হলেও কিন্তু সবজি উৎপাদন হচ্ছে না জমিতে। বর্তমানে বাজারে সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেলেও উৎপাদন না থাকায় সন্তুষ্ট না কৃষকরা। ফলে শত শত সবজিচাষী পড়েছেন দূর্ভোগে। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর বলেন করুনা পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও দেখুন
নাটোরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর ভিডিও ভাইরাল
নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রামে,,,,,,,,,,নাটোরের বড়াইগ্রামে এক স্বামীকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে …