পরিতোষ অধিকারী
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষকদের আয়কর দিতে হচ্ছে না এবার। এর আগে ন্যূনতম আয়কর সীমা ছিল আড়াই লক্ষ টাকা। এবারের বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে তিন লক্ষ টাকা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের মোট বেতন এবং বোনাস মিলিয়ে তিন লক্ষ টাকার কম হওয়ায় তারা আয়করের আওতায় আসছে না। তবে যে সকল প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষকদের অন্যান্য ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন প্রদান করা হয়, তাদের সরকারি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দুটো মিলিয়ে যদি তিন লক্ষ টাকার অধিক হয়, তবে তারা করের আওতাভুক্ত থাকবেন।
নাটোর কর আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট ভাস্কর বাগচী এ ব্যাপারে জানান, শুধুমাত্র বেতন-ভাতার কথা ধরলে হয়তো কেউ কেউ আয়করের আওতামুক্ত থাকবেন। কিন্তু সত্যিকারের একজন সহকারী শিক্ষক তার নিজস্ব জমিজমা এবং অন্যান্য আয়ের সূত্রগুলো যদি উল্লেখ করেন, তাহলে তাকে অবশ্যই ন্যূনতম কর দিতেই হবে। যদি তিনি তার অন্যান্য আয়ের উৎস রিটার্ন উল্লেখ না করেন তাহলে তার সঞ্চিত অর্থ কালো টাকা বলে গণ্য হবে। অবশ্যই সম্মানিত শিক্ষকরা তা না করে দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখা সহ একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরবেন।
লেখক: সম্পাদক, নারদ বার্তা বিডি.কম