নিজস্ব প্রতিবেদক,গুরুদাসপুর:নাটোরের গুরুদাসপুরে গর্ভবতী এক গৃহবধু (২৫) চিকিৎসা নিতে এসে কাজী আবু বক্কার সিদ্দিক নামের এক মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের হাতে শ্লীলতাহানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত আবু বক্কার সিদ্দিক গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট পদে চাকরি করছেন। নাটোর জেলা সদরের বাসিন্দা তিনি। শ্লীলতাহানির শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন- বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্বামীর সঙ্গে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভকালিন টিকা নিতে আসেন। এসময় অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক তার স্বামীকে কৌশলে বের করে দেন। টিকা দেওয়ার নামে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এসময় তাকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি চিকিৎসা না নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান- আবু বক্কার সিদ্দিক নামের ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট প্রায় তিন বছর আগে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে নারী কেলঙ্কারীসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি হাসপাতালের এক নারী মেডিকেল অফিসারকেও যৌন হয়রানী করেছেন। সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।ওই গৃহবধুর স্বামী অভিযোগ করেন- চিকিৎসা না নিয়েই তার স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে ওই মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। বাড়ি ফিরে তার স্ত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তারা ওই লম্পট মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের শাস্তি দাবি করেন। মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট এব্যাপারে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। শ্লীলতাহানির সতত্যা নিশ্চিত করে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. রবিউল করিম শান্ত বলেন- ঘটনার পর পরই টোকরেনালজিষ্টকে স্থানীয় রোষানল থেকে রক্ষা করতে হাসপাতালের একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা.মুজাহিদুল ইসলাম বলেন- বিষয়টি নিয়ে নাটোর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবেদন দুটি পওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।