রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / শিরোনাম / বিদ্রোহী বাঙলা সাহিত্যে একক কবিতা

বিদ্রোহী বাঙলা সাহিত্যে একক কবিতা

অধ্যাপক শেখর কুমার সান্যাল

কাজী নজরুল ইসলামের সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় কবিতা ‘বিদ্রোহী’ রচিত হয় ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে (১৩২৮ সনের পৌষ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ) কলকাতার ৩/৪-সি, তালতলা লেনের বাসায়। নার্গিস অধ্যায় শেষে কবি দৌলতপুর থেকে ১৯২১ সালের জুলাই মাসে তাঁর বাসস্থান কলকাতার ৮/এ টার্নার স্ট্রীটে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’ অফিসে ফেরেন। আগস্ট মাসে মুজফ্ফর আহ্মদ ও নজরুল ইসলাম বাসা বদল করে ত্রিপুরার পশ্চিম গাঁর নওয়াব ফয়জুন্নিসা চৌধুরানীর দৌহিত্রদের তালতলার এই দোতলা বাড়ির নীচ তলার দক্ষিণপূর্ব কোণের একটি ঘরে চলে আসেন। নজরুলের অনেক মহৎ সৃষ্টিকর্মের সাক্ষী এই ঘর।

‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লেখা হয় মুজফ্ফর আহ্মেদ রাত দশটায় ঘুমিয়ে পড়ার পর। নজরুল সাধারণত ঘুমাতেন দেরিতে, উঠতেনও দেরিতে। তিনি সম্ভবত গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে কবিতাটি লেখেন এবং তারপর আর ঘুমান নি। পরদিন খুব সকালেই কবি প্রথম মুজফ্ফর আহ্‌মদকে কবিতাটি পড়ে শোনান। নজরুলের ঝরনা কলম ছিল না। দোয়াতে বার বার কলম ডোবাতে গিয়ে চিন্তার সঙ্গে হাত তাল রাখতে পারছিল না বলে কবিতাটি পেন্সিলে লিখেছিলেন।

কিছুক্ষণ পরে ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকার আফ্জালুল হক সাহেব এলে নজরুল তাঁকেও কবিতাটি পড়ে শোনালেন। উচ্ছ্বসিত হকসাহেব তখুনি কবিতাটি কপি করে দিতে বললেন ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকার জন্য। তিনি চলে যাওয়ার একটু পর সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকার শ্রী অবিনাশ চন্দ্র ভট্টাচার্য এসে কবিতাটি শুনে তিনিও একটি কপি নিয়ে গেলেন। ‘বিদ্রোহী’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩২৮ সনের ২২শে পৌষ (১৯২২ সালের ৬ই জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ‘বিজলী’তে। ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকা প্রকাশের খুব একটা সময়-শৃঙ্খলা ছিল না। ‘বিদ্রোহী’ ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৩২৮ সনের কার্তিক সংখ্যায়। তবে সংখ্যাটি ফাল্গুন মাসের আগে প্রকাশিত হয়নি। প্রকৃতপক্ষে কার্তিক মাসে ‘বিদ্রোহী’ লেখাই হয় নি।

‘বিদ্রোহী’ কবিতার জন্য বৃষ্টি সত্ত্বেও কাগজের চাহিদা এত বেশী হয়েছিল যে সে সপ্তাহে ‘বিজলী’ দু’বার ছাপতে হয়। এরকম আর কোন কবিতার জন্য কখনো হয়েছে কি! প্রায় দেড় দু’লক্ষ মানুষ অল্প সময়ে কবিতাটি পড়ে ফেলে। ‘বিদ্রোহী’ ‘বিজলী’র পৃষ্ঠাতেই সীমাবদ্ধ থাকে নি, সেখান থেকে আরও অনেক পত্রপত্রিকা পুনর্মুদ্রণ করে। এমনকি ১৩২৮ সনে মাঘ সংখ্যা ‘প্রবাসী’তেও পুনর্মুদ্রিত হয়। ‘বিদ্রোহী’ সেকালে এত আলোড়ন তুলেছিল যে ‘বিদ্রোহী’ বিশেষণটি এখনো নজরুলের নামের পূর্বে একটি ভূষণের মতো শোভা বর্ধন করছে। এমনটিও বোধহয় কোনো কবির ক্ষেত্রে হয় নি।

‘বিদ্রোহী’ রচনার সময় নজরুলের বয়স ২২বছর, বাংলা সাহিত্যে একজন তরুণ কবির পক্ষে এই সৃষ্টিকর্ম বিস্ময়কর। পত্রপত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতার অনেক প্রশংসা হয়। তবে ‘বিদ্রোহী’র জন্য শুধুমাত্র নিরবচ্ছিন্ন প্রশংসাই জোটেনি নজরুলের। অজস্র ব্যঙ্গবিদ্রুপ, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং আক্রোশওও বর্ষিত হয়। ‘বিদ্রোহী’র সাফল্যে ঈর্ষান্বিত কেউ কেউ নজরুলের সমালোচনায় মুখর হয়। কবি-সাহিত্যিক-সাহিত্যসমালোচক মোহিতলাল মজুমদার, যিনি এক সময় ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় নজরুলের ‘খেয়াপারেরতরণী’, ‘বাদলপ্রাতেরশরাব’ প্রভৃতি কয়েকটি কবিতা পড়ে নজরুলের কবিতার ভূয়সী প্রশংসা করে সম্পাদকের কাছে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন এবং তাঁকে বাঙ্গলার সারস্বত মণ্ডপে স্বাগত জানিয়েছিলেন, এখন বলে বেড়াতে লাগলেন তাঁর ‘আমি’ প্রবন্ধের ভাবসম্পদ নিয়ে ‘বিদ্রোহী’ রচিত এবং ঋণস্বীকার না করে প্রকাশিত।

‘প্রবাসী’ অফিস থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘শনিবারের চিঠি’তে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ব্যাঙ্গ করে মোহিতলালের সহানুভূতি প্রত্যাশায় কবি সজনীকান্ত ‘ব্যাঙ’ নামে একটি প্যারোডি লেখেন। প্রসঙ্গত, ‘প্রবাসী’ অফিস থেকে প্রকাশিত হলেও ‘শনিবারের চিঠি’ ‘প্রবাসী’ মালিকানাধীন ছিল না। সে সময় ‘শনিবারের চিঠি’তে নজরুলের বিরুদ্ধে আরও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ‘আমার কৈফিয়ৎ’ কবিতায় নজরুল লিখেছেন, “প্রতি শনিবারে চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন মোরে”, ইত্যাদি। কবিতাটি বহুল আলোচিত হওয়ার ফলে অভূতপূর্ব প্রচারের সৌভাগ্য লাভ করে। কালক্রমে ‘বিদ্রোহী’ বাংলা ভাষার সর্বাধিক পঠিত কবিতা হয়ে ওঠে।

মোহিতলালের দাবি প্রসঙ্গে শ্রীরবীন্দ্রনাথ গুপ্ত ‘নীলকন্ঠ কবি নজরুল ইসলাম’ প্রবন্ধে লিখেছেন, “নজরুলের কবিতাটি যে একান্ত আত্মগত প্রেরণার ফল তা কাব্যরসিক মাত্রই স্বীকার করবেন। নতুবা রবীন্দ্রপ্রতিভা যখন মধ্যাহ্ন দীপ্তিতে বিরাজমান, তখনই নজরুলের আকস্মিক আবির্ভাব দলগোষ্ঠী নির্বিশেষে এমন সম্বর্ধিত হত না। … নজরুলের আপন প্রেরণায় রচিত ‘বিদ্রোহী’ বাঙলা সাহিত্যে একক কবিতা। সব দোষ-ত্রুটি সত্ত্বেও এই কবিতা বাঙলা সাহিত্যে স্থায়িত্ব লাভ করবে। কাজেই ‘বিদ্রোহী’র জন্য মোহিতলালের ঋণ স্বীকার করার কোনও কথাই উঠতে পারে না।

ড. সুকুমার সেন ‘বাঙ্গলা সাহিত্যের ইতিহাস’ চতুর্থ খণ্ডে লিখেছেন, “সত্যেন্দ্রনাথের প্রভাব মোহিতলাল সযত্নে কাটাইতে যত্নবান হইয়াছিলেন, … … কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাব কাটিতে একটু দেরি হইয়াছিল”। কাজেই নজরুল মোহিতলালের ভাব-সম্পদ আত্মসাৎ করেন নি, মোহিতলাল নিজেই নজরুলের দ্বারা প্রভাবিতহ য়েছিলেন।

ড. সুশীলকুমার গুপ্ত ‘নজরুল চরিতমানস’ গ্রন্থে লিখেছেন, “‘আমি’র মধ্যে দার্শনিক মনোভাব প্রবল, কিন্তু ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি অনেকখানি সামাজিক ও রাজনীতিক চেতনাজ্ঞান সম্পন্ন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির শেষাংশের সঙ্গে ‘আমি’ কথিকাটির উপসংহারের তুলনা করলেই এ বক্তব্য স্পষ্ট হবে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও ‘আমি’ কথিকার ভাবসম্পদ, প্রতীক গৌরব ও বাচনভঙ্গীর সমধর্মিতা অসতর্ক পাঠকেরও দৃষ্টি এড়ায় না। একথা অনেকেই জানেন যে, কোন একটি রচনার প্রেরণা থেকে অন্য একটি উঁচু দরের রচনা জন্মগ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে ‘আমি’ যদি ‘বিদ্রোহী’কে কিঞ্চিৎ প্রেরণা যুগিয়ে থাকে, তাহলেও ‘বিদ্রোহী’ বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। জীবনবোধে ‘বিদ্রোহী’ ‘আমি’র চেয়ে উৎকৃষ্টতর রচনা, একথা বলাই বাহুল্য”।

‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রকৃত ভাব সম্বন্ধেও অনেক প্রশ্ন ওঠে। অনেকের মতে কবিতায় নানা বিরোধী ভাবের সমাবেশে কাব্যের ফলশ্রুতি বিঘ্নিত হয়েছে। সজনীকান্ত ‘আত্মস্মৃতি’ ১ম খণ্ডে লিখেছেন, “নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা লইয়া একদিন বিকালে মফস্বলীয় মূঢ়তা সহ সত্যেন্দ্রনাথের সম্মুখে দাঁড়াইলাম। … ভয়ে এবং সংকোচে মরীয়া হইয়া শেষপর্যন্ত ‘বিদ্রোহী’ সম্বন্ধে আমার বিদ্রোহ ঘোষণা করিলাম। বলিলাম, ছন্দের দোলা মনকে নাড়া দেয় বটে, কিন্তু ‘আমি’র এলোমেলো প্রশংসা-তালিকার মধ্যে ভাবের কোনও সামঞ্জস্য না পাইয়া মন পীড়িত হয়; এ বিষয়ে আপনার মত কি? প্রশ্ন শুনিয়া প্রথমটা বোধহয় সত্যেন্দ্রনাথ একটু বিস্মিত হইয়াছিলেন। পরে একটা মৃদু হাসি তাঁহার মুখে ফুটিয়া উঠিল। … তিনি বলিলেন, কবিতার ছন্দের দোলা যদি পাঠকের মনকে নাড়া দিয়া কোনও একটা ভাবের ইঙ্গিত দেয় তাহা হইলেই কবিতা সার্থক।“

কাজী আব্দুল ওদুদ ‘নজরুল ইসলাম’ প্রবন্ধে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেন, “’বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি কি বলতে চেয়েছেন এ সম্বন্ধে নানা মত শুনতে পাওয়া যায়। কবির প্রায় ২৩ বছরের বিপুল সাহিত্য সাধনার উপরে চোখ বুলিয়ে আমার মনে হয়েছে, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রকৃতই কোন বিদ্রোহ-বাণীর বাহক নয়, এর মর্মকথা হচ্ছে এক অপূর্ব উন্মাদনা- এক অভূতপূর্ব আত্মবোধ- সেই আত্মবোধের প্রচণ্ডতায় ও ব্যাপকতায় কবি উচ্চকিত- প্রায় দিশাহারা। এর মনে যে ভাব সেটি এক সুপ্রাচীন তত্ত্ব; ভারতীয় ‘সোহম্‌’, ‘শৃন্বন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ’, ‘যত্র জীব তত্র শিব’ প্রভৃতি বাণীতে তা ব্যক্ত হয়েছে, সূফীর ‘আনালহক’ বাণীতেও সে-তত্ত্ব রয়েছে।“
ড. সুশীল কুমার গুপ্ত ‘নজরুল-চরিতমানস’ গ্রন্থে আরও লিখেছেন, “প্রকাশ ভঙ্গির দিক দিয়ে কবিতাটি ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলা যায় যে, এখানে ভাষা শুধু অর্থপূর্ণ ভাষা না হয়ে যেন কতকগুলি ভাবের অভিব্যক্তি ব্যঞ্জক ইঙ্গিতময় হয়ে উঠেছে। সুসংবদ্ধ অর্থ সর্বত্র খুঁজে না পাওয়া গেলেও কবির অগ্ন্যুচ্ছ্বাস হৃদয় দিয়ে অনুভবগম্য। এই ভাবে বিচার করলে ‘বিদ্রোহী’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিম্বলিক (symbolic) কবিতা। নজরুলের এই সার্থক সিম্বলিকতার মূলে কাজ করেছে তাঁর অপ্রতিহত দুর্দান্ত পৌরুষ, উদ্দাম উন্মুক্ত হৃদয়াবেগ এবং বীর্যবন্ত চির-উন্নত-শির অহমিকা (egotism)। এই অহমিকার উদগ্রতম প্রকাশের আর একটি সার্থক উদাহরণ ‘ধূমকেতু’ কবিতাটি। বস্তুত নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ ও ‘ধূমকেতু’ কবিতা দুটির মধ্যে তাঁর বিদ্রোহের যে রুদ্ররূপ প্রকাশিত তারই প্রতিবিম্ব পড়েছে অন্যান্য বিদ্রোহ ভাবমূলক রচনায়। এজন্যে এ কবিতা দুটি তাঁর কাব্যজগতে একটি বিশেষ গৌরবময় আসনের অধিকারী। “বস্তুত এই কবিতাটি নজরুলের জীবন ও কবিমানসের একটি বিশিষ্ট প্রতিনিধি।

ড. রফিকুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী কবিতার পটভূমি, প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা’ প্রবন্ধে লিখেছে, “’বিদ্রোহী’ কবিতাটি ষান্মাত্রিক মাত্রাবৃত্ত মুক্তক ছন্দে রচিত, এ-কবিতায় মাত্রাবৃত্ত মুক্তক ছন্দ সমিল কিন্তু ছন্দের বৈশিষ্ট্য আনা হয়েছে মাত্রাবৃত্তে প্রবাহমানতা সঞ্চার করে। পর্ব বিভাগ ছয় মাত্রার চালে কিন্তু চরণের শুরুতে একটি অতিরিক্ত পর্ব এবং চরণের শেষে খণ্ড পর্ব রয়েছে। ফলে পঙ্‌ক্তিগুলি সমান নয়। এই বৈচিত্র্য প্রয়োজন হয়েছে ভাব ও বক্তব্যের কারণে। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবির আত্মগত ভাবোচ্ছ্বাসের যে বিচিত্র প্রকাশ তাতে ঐ ছন্দ-বৈচিত্র্য প্রয়োজন ছিল।“ যাঁরা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ছন্দবৈচিত্র্যের যথার্থতা ও পর্যালোচনা সম্বন্ধের জানতে আগ্রহী তাঁদের জাতীয় অধ্যাপক ও নজরুল-গবেষকশ্রদ্ধেয় ড. রফিকুল ইসলামের জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধটি পড়ে দেখতে অনুরোধ করি।

বুদ্ধদেব বসু মন্তব্য করেছেন, “কবিতায় রবীন্দ্রনাথের উত্থান এমনই সর্বগ্রাসী হয়েছিল যে তার বিস্ময়জনিত মুগ্ধতা কাটিয়ে উঠতেই দু’তিন দশক কেটে গেল বাংলা দেশের। যতদিন না বিদ্রোহী কবিতার নিশেন উড়িয়ে হৈ হৈ করে নজরুল ইসলাম এসে পৌঁছলেন। সেই প্রথম রবীন্দ্রনাথের মায়াজাল ভাঙলো। … রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম মৌলিক কবি। … এই যে নজরুল, রবি তাপের সময়ে রাবীন্দ্রিক বন্ধন ছিঁড়ে বেরোলেন, বলতে গেলে অসাধ্য সাধন করলেন, শুধু আপন স্বভাবের জোরেই রবীন্দ্রনাথ থেকে পালাতে পারলেন তিনি, বাংলা কবিতায় নতুন রক্ত আনতে পারলেন। … যে আকাঙ্ক্ষা তিনি জাগালেন তার তৃপ্তির জন্য চাঞ্চল্য জেগে উঠলো নানাদিকে, … বাংলা সাহিত্যের মোড় ফেরার ঘন্টা বাজলো।“

বাংলা কবিতার পালাবদলে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ঐতিহাসিক ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সবিনয় নিবেদনঃ
এইপ্রবন্ধের জন্য, এবং আমার অন্যান্য প্রবন্ধের জন্যও, আমি মহোচ্চবর্ণ ধনীদের কাছে ঋণী, বর্ণযোজনা শুধু আমার।

সহায়ক পাঠ-
১। কাজী নজরুল ইসলাম স্মৃতিকথা – মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ। ২। নজরুল-চরিতমানস – ড. সুশীলকুমারগুপ্ত।
৩। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার পটভূমি, প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা – রফিকুল ইসলাম।

আরও দেখুন

নাটোরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রামে,,,,,,,,,,নাটোরের বড়াইগ্রামে এক স্বামীকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে …