রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪
নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / ঈদের ছুটিতে সড়কে ঝরল চার বাইকারের প্রাণ

ঈদের ছুটিতে সড়কে ঝরল চার বাইকারের প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ীঃ

ঈদের দিন আনন্দ ভ্রমণে বের হয়ে সড়কে প্রাণ হারালেন তিন মোটরসাইকেল বাইকার। এবং ঈদের আগের দিন রাতেও সড়কে প্রাণ হারায় আরেকজন। রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার তিনজনসহ মোট চারজন বাইকার প্রাণ হারায় সড়কে। রবিবার ও সোমবার গোদাগাড়ী ও বাগমারা উপজেলায় আলাদা তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা। নিহতরা চারজনই ছিল ছাত্র।

নিহতারা হলেন-  গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ গাঙ্গোবাড়ী গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে নাসিম, বিদিরপুর গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে রিয়াদ (১৮), মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাশেদ (২০), শ্রীমন্তপুর গ্রামের শামসুলের ছেলে রিপন (১৬) এবং চারজনই মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন।

রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান ও গোদাগাড়ী থানার ওসি খাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এ চার তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের পর বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে আনন্দ ভ্রমণে বের হন তারা । বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে গোদাগাড়ীর সোনাদীঘি এলাকায় একটি অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কায় রিয়াদ ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এবং একই সময় উপজেলার ফুলতলা এলাকায় রিপন মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া রাজশাহীর মোহনপুরের রাশেদও একটি মোটরসাইকেলে দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। তারা বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদের মৃত্যু হয়। আহত হন দুর্গাপুর গ্রামের ইন্তাজ শাহ’র ছেলে মিজান (২০) এবং একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মেহরাব (১৯)।

এদিকে ঈদের আগের দিন রাতে রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার সময়। মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে  মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম নিহত হয়। উপজেলার রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের সারাংপুর এলাকায় শুভ নর্সারীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনায়  গুরুতর আহতাবস্থায় মেহরাবকে রামেক হাসপাতালে আর মিজান ও আলামিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রাশেদ মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাজ খানের ভাতিজা। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলে ও রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

এই চার তরুণের মৃত্যুতে আনন্দের ঈদ পরিবার ও এলাকায় বিষাদের রূপ নিয়েছে।

আরও দেখুন

নাটোরে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে মারধর ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রামে,,,,,,,,,,নাটোরের বড়াইগ্রামে এক স্বামীকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে …