নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে চালু হয়েছে আরেকটি ল্যাব। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ল্যাবটি স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর ২টার দিকে ৪০টি নমুনা নিয়ে ল্যাবে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাদের কাছে থাকা একটি পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন দিয়ে ল্যাবটি চালু করা হলো। বেশ কয়েকদিন আগে ল্যাবটি প্রস্তুত করা হলেও একটু জটিলতার কারণে চালু করা যাচ্ছিল না। অবশেষে ল্যাবটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এখন প্রতিদিন সেখানে করোনার নমুনা পরীক্ষা হবে। তিনি জানান, রামেক হাসপাতালের নতুন এই ল্যাবেও একসঙ্গে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই শিফটে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হবার পরই রাজশাহীতে ল্যাব স্থাপনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তার প্রচেষ্টায় আসে পিসিআর মেশিন। সেটি রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে স্থাপন করা হয়। পয়লা এপ্রিল থেকে ল্যাবটি চালু হয়েছে। এরপর প্রতিদিন সেখানে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এই ল্যাবে দুই শিফটে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশনা দেন। তাদের নির্দেশনা মতো প্রায় প্রতিদিনই ল্যাবটিতে দুই শিফটে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।
এরই মধ্যে পরীক্ষা শুরু হলো রামেক হাসপাতালের ল্যাবেও। অবশ্য নতুন ল্যাব প্রস্তুত এবং সেখানে পিসিআর মেশিন স্থাপন করার পরও পরীক্ষা শুরু নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা সব সমস্যা সমাধানে বার বার তাগিদ দিয়ে আসছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও সম্প্রতি সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে ল্যাবটি পরিদর্শনে যান। অবশেষে ল্যাবটি চালু হলো। এখন থেকে রাজশাহীতে আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।
সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী শহরকে নিরাপদ রাখার জন্য আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করে আছি। তাই বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারে আমরা জোর দেই। রামেক হাসপাতালে দ্বিতীয় ল্যাবটি চালু হওয়ায় আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। এতে কেউ আক্রান্ত থাকলে শনাক্ত হবে। তাকে আলাদা করে ফেলা যাবে। এতে করোনা মোকাবেলা সহজ হবে।
সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সন্দেহজনক করোনা রোগীর যত বেশি পরীক্ষা করা যাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তত বেশি সহজ হবে। তাই আরেকটি ল্যাব চালু করা হলো। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার প্রচেষ্টা থাকা দরকার। আমরা আমাদের চেষ্টাটা করে যাচ্ছি। এখন সাধারণ মানুষকেও ঘরে থেকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।