নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার আগে তাকে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটনাকারী অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। ওই নারীর নাম রিয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর পুর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে রিয়া খাতুনকে আটক করে পুলিশ। গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রিয়ার কথার সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ ও হৃদয়ের কথার মিল খোঁজা হচ্ছে। রিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
এদিকে বাড্ডা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াছিন গাজী বলেন, রিয়াকে বিকেল ৩টার দিকে ওই স্কুল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে রেনুকে পিটিয়ে হত্যার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয়কে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে। হ্নদয় পুলিশকে জানায়, সেসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক স্কুলটির দ্বিতীয় তলার প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে টেনেহিঁচড়ে রেনুকে নিচে নামিয়ে আনে। এরপর তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
তার আগে রেনুকে ছেলেধরা প্রথম যে সাজিয়েছে তার মধ্যে কয়েকজন নারী ছিল। সেই নারীদের দেখলে হৃদয় চিনতে পারবে। হৃদয়ের দেয়া তথ্যমতে রিয়াকে আটক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
গত ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েকে ভর্তির খোঁজ নিতে ওই স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু। এরপর তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ রেনুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রেনুর ভাগিনা নাসির উদ্দিন বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।