নীড় পাতা / স্বাস্থ্য / করোনা / করোনা আপডেটঃ খুলনা বিভাগে দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

করোনা আপডেটঃ খুলনা বিভাগে দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাঃ

খুলনা বিভাগে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৫৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৮৯ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। শনিবার (১৬ মে) খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে যশোরে জেলা ও সর্বনিম্নে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলা। জেলাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা হলো যশোর ৯০ জন, চুয়াডাঙ্গা ৭৮ জন, ঝিনাইদহ ৪৩ জন, কুষ্টিয়া ২২ জন, খুলনা ১৯ জন, মাগুরা ১৯ জন, নড়াইলে ১৫ জন, বাগেরহাটে ৭ জন, মেহেরপুরে ৬ জন ও সাতক্ষীরায় ২ জন।

এর মধ্যে খুলনায় ২ জন, বাগেরহাটে ১ জন, নড়াইলে ১ জন, বাগেরহাটে ১ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন করোনায় মারা গেছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়ে বেশি রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল এ বিভাগে। শনিবার (১৬ মে) পর্যন্ত মোট ৩৩৭ জনকে আইসোলেশনে চিকিৎসা করা হয়, তবে আইসোলেশন থেকে এ পর্যন্ত ছাড়াপত্র পেয়েছেন ১৩৭ জন।

এদিকে গত ১০ মার্চ থেকে খুলনা বিভাগের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২৯ হাজার ৮৯৫ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন পার হওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ১৬১ জনকে। বাকিরা এখনো হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষের করোনার পরীক্ষার জন্য তিনটি পিসিআর ল্যাব দায়িত্বে রয়েছে। এগুলো হলো খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য দিয়ে জানান, খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গ না থাকলে তাদেরকে বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আরও দেখুন

পুঠিয়ায় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে রাতের আঁধারে চলছে পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পুকুর …