নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ীঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উপজেলায় প্রথম বারের মতো বিভিন্ন ইউনিয়নের শতভাগ ফসল উত্তোলনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ইরি-বোরো ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দি কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন বিজয়নগর মাঠে ধান কাটা ও মাড়াই কাজের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় ।
উল্লেখ্য, সমকালীন চাষাবাদ” পদ্ধতিতে বিজয়নগরের এই মাঠে ৬০ শতক জমির ধান দেখতে একই রকম হবে । এখানে থাকবে না অন্য কোন জাতের মিশ্রণ বা উঁচু নিঁচু ঢেউ খেলানো ভাব। এই জমি সমতল সবুজ জমিনের কার্পেট বিছানো চাঁদোয়ার মত। একই মাঠে একই সাথে, একই দিনের চারা, একই গভীরতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টার (চারা রোপণের যন্ত্র) দিয়ে লাইন করে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৮১এর চাষাবাদ হয়েছিল বিজয়নগরের এই ব্লকে ৷ তাই বিশেষ করে এই ব্লকে ধানকাটা উৎসব উদ্বোধন করা হলো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামছুল হক,অতিরিক্ত পরিচালক স্যার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুন উর রশীদ,গোদাগাড়ীর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান প্রমুখ।
এসময় রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রান্তিক কৃষকদের বিনা মূল্য সার ও বীজ বিতরণ করেছেন। এবং যেখানে কৃষি শ্রমিক দিয়ে বিঘা প্রতি খরচ ৮-৯ হাজার টাকা সেখানে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতি ঘন্টায় এক একর জমির ধান কাটা,মাড়াই ও বস্তাাবন্দি করা সম্ভব হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটোয় কম লাগবে। সরকারিভাবে আবার কৃষকদের কাছ থেকে অধিকমূল্যে ধান ক্রয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায় জানান,করোনা ভাইরাস এর কারণে কৃষকরা সারা দেশে শ্রমিক সংকট কাটাতে, প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে পরিত্রাণের জন্য স্বল্প সময়ে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে আমরা সরকারি উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে সরবরাহকৃত হারভেস্টার দিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ীর মাধ্যমে জমির ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরো বলেন, এবারের করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য কৃষকদের কথা চিন্তা করে সরকার ভূর্তকি দিয়ে ধান কাটার যান্ত্রিক মেশিন কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। সরকার ধান কাটার যান্ত্রিক মেশিন কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষকদের কথা ভাবেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এ বছর গোদাগাড়ী উপজেলায় ১৩ হাজার ৪শত ৮৫ হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষাবাদ হয়েছে।