নিজস্ব প্রতিবেদক, নলডাঙ্গাঃ
নাটোরের নলডাঙ্গায় দুই মাদক ব্যবসায়ী টিয়া ও মুক্তাকে গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। বৃস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চেউখালী ও কাজিপাড়ার শতাধিক গ্রামবাসী এ দুই মাদক ব্যবসায়ীর অত্যাচার নির্যাতন ও হামলার শিকারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন দেওয়ান তাদের দাবীগুলো শুনে তা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরে দুই মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যায়। মাদকব্যবসায়ী টিয়া পশ্চিম মাধনগর কাজিপাড়া গ্রামের সলি রাজাকারের ছেলে ও মুক্তার হোসেন একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
মাধনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে কাজীপাড়া গ্রামের ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদ হোসেন ও তার ছোট ভাই শাজাহান আলী মাদক ব্যবসায়ী টিয়া ও মুক্তার সহযোগি সেলিমকে মাদক (গাঁজা) বিক্রয় নিষেধ করলে শাজাহানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সে এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে তার অবস্থা আশংকাজনক।
ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাঈদ হোসেন, মাধনগরের চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী টিয়া ও মুক্তা মাদকব্যবসার প্রতিবাদ করায় গত ৩ মে আমার ছোট ভাই শাজাহানকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাত্ত জখম করেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিন্ত এখনও কাউকে গ্রেফতারতো দুরের কথা উল্টো আমাদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে ও দুই মাদক ব্যবসায়ী টিয়া ও মুক্তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠিন বিচারের দাবীতে মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি।
গ্রামবাসী কাসেম, সমজেদ, সবেদ আলী বলেন, মাদকের কারণে আমাদের সন্তানরা বিপদগামী হচ্ছে। চেউখালি গ্রামে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা, ইয়াবা ও হোরোইন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছে এসব ব্যবসা। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন ও হামলায় শিকার হতে হয়। যার প্রতিবাদ করে সাঈদ হোসেনের ছোট ভাই শাজাহান এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর কাজিপাড়া গ্রামে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় গত ৩ মে কাজিপাড়ার শাজাহান আলীকে ছুরিকাঘাত করে মাদক বিক্রেতা টিয়া ও মুক্তার সহযোগি সেলিম। এর দুই দিন পর মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় চেউখালি বটতলায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। এর জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেপ্তার আতংক বেড়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী ফুঁসে উঠেছে।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …