করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবকালে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিয়েছে সরকার।
মোট ৬৩ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের কাছে বিতরণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন চাল। ৩৫ লাখ ২২ হাজার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নগদ সাহায্য ৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ যাবত মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৩ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৯টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ছয় কোটি ১৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা । এ খাতে মোট বরাদ্দ ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এদিকে পবিত্র রমজান উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ট্রাকসেলযোগে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এক লাখ ৮৪ হাজার জন ক্রেতার কাছে ৫০৮ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল, ৪৬০ মেট্রিক টন চিনি, ৯২ মেট্রিক টন মশুর ডাল, ২৩৯ মেট্রিক টন ছোলা এবং ২৮ মেট্রিক টন খেজুর সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করেছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রায় তিন হাজার ডিলারের মাধ্যমে ৪৬০টি ট্রাকে এ সকল পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল, ৩ কেজি চিনি, ১ কেজি মশুর ডাল, ২ কেজি ছোলা এবং ১ কেজি খেজুর বিক্রয় করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের জন্য উল্লেখিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় করছে টিসিবি। এ কর্মসূচির আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। পিআইডির তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।