শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / এবার নির্মিত হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু

এবার নির্মিত হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু

দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। সম্প্রতি শেষ হয়েছে পদ্মা সেতুর পাইল বসানোর কাজ। মূল সেতুর নির্মাতা চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে পাইল বসানোর কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের ১৬ দিন আগে পাইল বসানোর কাজ শেষ হলো।

এদিকে ২৯৪টি পাইলের পাশাপাশি এর মধ্যেই ৩০টি পিলার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেতুর মোট ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে কয়েক ভাগে ১৪টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে বর্তমানে পদ্মা সেতুর ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।

এদিকে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের দৃষ্টি পড়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুতে। এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

প্রথম পদ্মা সেতুর মতো দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নেও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় চীন। এ নিয়ে চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও সেতু বিভাগ সূত্র এসব তথ্য জানায়। সূত্র জানায়, এর আগে পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণে জাইকা তাদের বিস্তারিত সমীক্ষায় চারটি স্থানকে সুবিধাজনক হিসেবে চিহ্নিত করে। এগুলো হলো- পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ, দোহার-চরভদ্রাসন, মাওয়া-জাজিরা ও চাঁদপুর-ভেদরগঞ্জ। 

এর মধ্যে মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে দেশের বৃহত্তম পদ্মা বহুমুখী সেতু বাস্তবায়নের কাজ ৮১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ পয়েন্টে হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। এ সেতু নির্মাণ হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজবাড়ীর সড়ক যোগাযোগের দূরত্ব কমে আসবে।

প্রস্তাবিত এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬ দশমিক ১০ কিলোমিটার। আর প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ১২১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রস্তাব ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিকে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সে সময় অবশ্য দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ৫ কিলোমিটার। পরে এর দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয় ৩ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে বলে মনে করছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটি পবালিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমেও বাস্তবায়নের বিকল্প খোলা রাখছে সরকার। 

তবে এবার বিশ্বব্যাংক ও এডিবি আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সেতু বিভাগ। এ ছাড়া চীন সরকার প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। ২০১৩ সালের শুরুতে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে প্রায় সাত বছর পর আবারও আলোচনায় এসেছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু। 

আর এতে করে দেশের মানুষ আশা করে তাকিয়ে আছে কবে শুরু হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ। ইতোমধ্যে ৮১ ভাগ কাজ শেষ হয়ে প্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের। তবে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের উপর দৃাষ্টপাত করলে দেখা যায়, খুব দ্রুতই শুরু হবে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …