বহুমাত্রিক সমাজ আমাদের। এই দেশে হরেক রকমের মানুষ বসবাস করে। সবাই ভালো না, সবাই খারাপও না। বিভিন্ন জাতপাত মিলেই আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ।
এই দেশে তিতুমীর সূর্যসেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যেমন জন্ম হয়েছে। ঠিক তেমনি মীরজাফর, গোলাম আজম, খন্দকার মোশতাকের মত কুখ্যাতরাও যুগে যুগে জন্ম নিয়েছে। তেমনি লাখ কোটি ভালো মানুষের পাশাপাশি দেশে কিছু চাল চোর, গম চোর, গরিবের ত্রাণ চোর, রেশনের মাল চোরও আছে। এদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। পরিচয় একটাই তারা চোর। গরীবের হক আত্মসাৎকারী।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় দীর্ঘদিন। খুব স্বভাবিকভাবেই কেউ কেউ আওয়ামী লীগের দিকেই আঙ্গুল তোলার চেষ্টা করেন। অনুরোধ, আপনারা নিজেদের সাধারণ জ্ঞানটা একটু ব্যবহার করেন। আওয়ামী লীগের কারো কিন্তু “সরকারি” চাল,গম, রেশন পাবার সুযোগ নেই।
সরকারি ত্রাণের চাল যারা পাচ্ছেন তারা উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ জন প্রতিনিধিরা। রেশনের মালামাল পাচ্ছেন স্থানীয় ডিলাররা। তাদের যে কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে। কিন্তু তারা যখন “জনপ্রতিনিধি” পরিচয়ে চুরি করছেন তখন তাদের “দলীয়” পরিচয়ে রং দেয়াটা অন্যায়।
অনিয়ম ঘটেনা পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই। দেখার বিষয় হচ্ছে বিচার হয় কিনা। যারাই এসব ত্রাণ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকেই ছাড়ছেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই যেখানেই অনিয়মের খবর পাচ্ছে , সেখানেই চলছে অভিযান ও গ্রেফতার। কোনো দলীয় পরিচয় দেখা হচ্ছে না। কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না।
অপবাদ দিয়ে কোনো দলকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা না করে আসুন চাল চোর ধরি এবং সোচ্চার হই।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)