নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
চিকিৎসা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। এটি মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম। অসুস্থ্য ব্যক্তির সুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। এক কথায় জীবনকে বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে পূর্বের ন্যায় স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয়াই হলো চিকিৎসার মুল উদ্দেশ্য। আর প্রাথমিক ভাবে প্রত্যন্তঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যারা কাজ করে যাচ্ছেন তারা হলেন, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মীরা। তারা নিড়লসভাবে গ্রামাঞ্চলের খেঁটে খাওয়া অসহায় মানুষ গুলোর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছেন।
বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে ভীতি ও অনিশ্চয়তা। তাছাড়া কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লগডাউন। বর্তমানে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তবে তারা মাক্স তাদের ইউনিফর্ম ও পিপিই পড়েই প্রতিনিয়ত অর্ধশতাধিক রোগী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।তারা করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য (পিপিই) পোশাক পেয়েছেন। এতে করে গ্রামাঞ্চলের রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে কোন আতংক কাজ করছে না ।তাছাড়া বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ গ্রামে চলে আসায় রোগীর চাপ দিন দিন বেরেই চলেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ যত্র না থাকায় শহরাঞ্চল থেকে আগতদের কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তাও বুঝতে পারছেন না সিএইচসিপি কর্মীরা। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই করোনার ঝুঁকি নিয়েই তাদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
বর্তমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া পৌরসভার টুনিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সনজয় মুখাজ্জী জানান, বর্তমানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। তবে আমরা যেহেতু প্রত্যন্তঞ্চলের মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। তাছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের দোড়ঘোড়ায় হওয়া সাধারণ সর্দি, কাশি কিংবা জ্বর হলেও তারা আমাদের কাছে ছুটে আসে। তাই বর্তমানে আমরা বেশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটেশন ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য (পিপিই) পোশাক সময় মত পেয়েছি আমরা।