নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রামঃ
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সন্তানকে হত্যা করার পর মায়ের আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের পোতা গ্রামে। জানা গেছে, পোতা গ্রামের বিপুল চন্দ্র বর্মন দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি চাল কলে শ্রমিকের কাজ করে। এ কারণে সে সেখানেই অবস্থান করে। মাঝে মধ্যে স্ত্রী সন্তানের খবর নিতে বাড়িতে আসে বিপুল চন্দ্র বর্মন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যানবাহন না থাকায় বিপুল চন্দ্র বর্মন নিয়মিত বাড়িতে আসতে পারে না। বাড়িতে বিপুল চন্দ্র বর্মনের বাবা, মা ও স্ত্রী-সন্তান বসবাস করে। ১৫ এপ্রিল ভোর ৪ টার দিকে বিপুল চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী বন্যা রাণী লিপি তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান বাপ্পী চন্দ্র বর্মন (২) কে হত্যা করে। এরপর সে নিজেও বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা শ্বশুর-শাশুড়ী জেগে উঠে দেখতে পায় নাতী বাপ্পীর মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে এবং পুত্রবধু বিষপান করে অসুস্থ। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় লিপিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর মৃত্যু ঘটে। লিপির ভাই আনন্দ চন্দ্র বর্মন জানান, ৫ বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ী অপছন্দ করতো। কারণে-অকারণে তার বোনকে মানসিক নির্যাতন করে। আর এ কারণেই সন্তানকে হত্যা করে সে আত্মহত্যা করতে পারে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বলেছে, ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশীরাও তেমন কিছু বলতে পারছেন না। মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও দেখুন
তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতি আশার সঞ্চার করছে:দুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন,গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে তারেক …