নিউজ ডেস্কঃ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসদ টেলিভিশনে প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস নেয়ার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষক- শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষাবিদরা।
তবে প্রাথমিক স্তরের ক্লাস একেবারে বই নির্ভর না করে উপকরণ ভিত্তিক হলে শিশুদের জন্য শেখাটা সহজ হবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী অনেকটা ঘরবন্দী অবস্থায় আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরপরই সংসদ টিভির মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের রেকর্ডিং করা ক্লাস প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস শুরু হয় ২৯ মার্চ থেকে আর প্রাক প্রাথমিক থেকে প্রাথমিক স্তরের ক্লাস শুরু হয় ৭ এপ্রিল থেকে। মাধ্যমিক স্তরের ক্লাসের নাম দেয়া হয়েছে “আমার ঘরে আমার স্কুল”। আর প্রাথমিক স্তরের নাম দেয়া হয়েছে “ঘরে বসে শিখি”। প্রতিটি ক্লাসের সময় ২০ মিনিট। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বেশ উপভোগ করছে ক্লাসগুলো। অভিভাবকরাও সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে অনেকটা চিন্তামুক্ত হয়েছেন।
শিক্ষকরা বলছেন , ক্লাস বন্ধের এই সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার এই সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক।
শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা বলছেন, ভালো শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অনেক উপকারে আসবে। তবে প্রাথমিকের ক্লাসগুলো আরো বেশি উপভোগ্য করার পরামর্শ তাদের।
এসব ক্লাসে দেয়া বাড়ির কাজ , স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শ্রেণীশিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। এই বাড়ির কাজের উপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।