নিউজ ডেস্কঃ
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে সাফল্যের দেখা মেলেনি। তবে এ নিয়ে চলছে রাতদিন গবেষণা। কতদিন নাগাদ এই ওষুধ পাওয়া যাবে তা-ও বলতে পারছেন না গবেষকরা।
তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ‘হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইনন’ নামে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর হচ্ছে। আর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ বর্তমানে ভারত। বিশ্বে হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইনের মোট উৎপাদনের ৭০ শতাংশই ভারতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিসাবে হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইন শনাক্ত করেছে।
ইতিমধ্যেই এই ওষুধের জন্য ৩০টির বেশি দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এরপরেই বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে ভারত। প্রথম দফায় এসব দেশকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনার এই দুঃসময়ে বাংলাদেশকে ২০ লাখ হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইন ট্যাবলেট দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ভারত।
এছাড়া ব্রাজিল, কানাডা এবং জার্মানিকে ৫০ লাখ হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইন ট্যাবলেট দেয়া হবে। অপরদিকে নেপাল পাবে ১০ লাখ, ভুটান ২ লাখ, শ্রীলঙ্কা ১০ লাখ, আফগানিস্তান ৫ লাখ এবং মালদ্বীপ ২ লাখ।
করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা জানার পর গত ২৫শে মার্চ ওই ওষুধের রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিধিনিষেধ তুলে নিতে বাধ্য হয় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জার্মানি, বাহরাইন, ব্রাজিল, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশে এই ওষুধ পাঠানো হবে। এদিকে, গুজরাটের তিনটি কারখানা থেকে হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইনের অন্তত ২ কোটি ৯০ লাখ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ধাপে রফতানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারি দামু রবি বলেন, হাইড্রোক্সিক্লােরোকুইনের জন্য এ পর্যন্ত অনেক দেশ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। সে কারণেই বেশ কিছু দেশকে এই ওষুধ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।