নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে ঘরবন্দী মানুষ। কেউ হয়তো ছোটখাটো কাজ করলেও সমাজে আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে আছেন। চলমান পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া এ ধরনের মানুষের পক্ষে লাইনে দাঁড়িয়ে সরকারী খাদ্য সংগ্রহ করা বিব্রতকর অথবা বিতরণকালে মিডিয়া কিংবা সহায়তাকারীর ক্যামেরাবন্দী হওয়ার চক্ষু লজ্জা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে অনেকেই সাহায্য সহযোগিতার আওতার বাইরে থেকে গেছেন। এমন প্রায় ৪শত পরিবারকে রাতের আঁধারে ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলো রাণীভবানী স্পোর্টং ক্লাবের সদস্যরা।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর ক্লাবের সদস্যরা তাদের নিজ উদ্যোগে নাটোর শহরের বঙ্গোজ্জ্বল ও দক্ষিণ চৌকিরপাড় এলাকার অসহায়, কর্মহীন, মানুষদের মাঝে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করেছে। এতে সাহায্য সহায়তা গ্রহীতারা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
রাণীভবানী স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য রওশন জানান, চক্ষু লজ্জার কারণে বা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ার ভয়ে এসব পরিবার অভাব থাকা সত্বেও কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। তাদের এই সম্মানটুকু রক্ষার বিষয়টা নিশ্চিত করেই আমরা উদ্যোগটা গ্রহণ করেছি। রওশন আরো বলেন, এভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তা প্রদানের আর একটি বড় ইতিবাচক দিক হলো সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যা আমাদের সকলকেই মারণব্যধি করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করতে পারে।
এসকল দিক বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনে আগামীতেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেয়ার ইচ্ছা আছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাণীভবানী স্পোর্টিং ক্লাবের এই সদস্য।