ভাইরাস যে কোন সময় ঢুকতে পারে সেই ভয়ে মরে না গিয়ে আমার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায় আসুন সেই চেষ্টা করি। এটিকেই আমি প্রিন্সিপাল হিসেবে ধরে নিয়েছি। কারণ ভাইরাসমুক্ত, ব্যাকটেরিয়ামুক্ত জগত হয় না।
আসুন, করোনার কথা ভুলে যাই। আমাদের চারপাশে ভারতে মাল্টি ড্রাগ রেজিসট্যান্ট টিউবারকুলসিস ঘুরে বেড়ায়। কই, টিবিতো হয়নি বুকে? কেন হয়নি। ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো। তাহলে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়ানো যায়?
এক্ষেত্রে আমি একটা জিনিস ফলো করছি। রেগুলার একসারসাইজ। হঠাত করে ডারবল, বাম্বল করতে হবে না। যে যে ব্যায়ামে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, সেটা নিয়মিত করা।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তৃতীয়ত যে কোনো একটা মাল্টি ভিটামিন খাওয়া। ভিটামিন সি ও জিংক কিছুটা ইমিউনিটি বাড়ায়। চতুর্থত, এই সময়ে সবার গলা একটু খুসখুস করে। তাই গরম পানি করে রাখা। আর গলা খুসখুস করা মানেই করোনা নয়।
আবারো বলছি, কবিড-১৯ মানেই মৃত্যু নয়। ডেথরেট মাত্র টু পারেসন্ট। কাজেই ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। আর বেশি মাস্ক রাখারও দরকার নেই।
আমি যেটা করেছি সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করার পর ফেলছি না। অন্তত তিন ঘণ্টা ব্রাইট সানশাইনে রেখে দিচ্ছি। কারণ রোদ অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে মেরে দেয়। আর মুখে হাত দিচ্ছি না।
আর যেহেতু বের হচ্ছি না, ড্রাইভারকে আসতে বারণ করেছি। আর বাইরের গৃহকর্মী যখন আসছে তাকে সাবান দিয়ে হাতমুখ ও পা ধুয়ে নিতে বলছি। এবং তার সাথে কথা বলছি অন্তত এক মিটার দূরত্বে থেকে। মিসেসকে বলেছি, আমিও তাই করছি।
আরেকটা জিনিস করছি, কারবোহাইড্রেড ও ফ্যাট কমিয়ে দিয়ে প্রোটিন বেশি খাচ্ছি। কারণ প্রোটিন ডায়েট ইমিউনিটি বাড়ায়। তবে মাছ, মাংস, ডিম একগাদা খাওয়ার দরকার নেই। যেটুকু হচ্ছে তো হচ্ছেই। তার সাথে দুই রকমের ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি। ভেরি হাই প্রোটিন। প্রচুর পানিও পান করতে হবে।
আর বিকালে খোলা হাওয়ায় পায়চারি। আমি ছাদে করছি। যেই বয়সীই হোন না কেন, এগুলো মেনে চললে ইমিউনিটি বাড়বে। বাড়লে আমরা লড়তে পারব।
(ভারতের একজন ডাক্তারের পরামর্শ)