নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়াঃ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থকলেও বিভিন্ন বাজার হাটে যত্রতত্র চলা ফেরা করছে সাধারণ মানুষ।
সাপ্তাহিক হাট বাজার বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও শুক্রবার দিব্যি জনসমাগম করতে দেখা যায় নাটোরের বাগাতিপাড়ার তমালতলা হাটে। সেখানে মাছ মাংস থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই চলছে সাধারন মানুষের ভিড় করে বেচাকেনা।
তমালতলা হাট নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বললে তাঁর বক্তব্য অনেকটা হতাশা জনক !
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা দে পাল বলেন, বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে তমালতলা হাট বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম। তার পরেও যদি এভাবে হাট বসে তাহলে আমরা তার মানুষকে মারপিট করে ঘরে ঢুকাতে পারি না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তমালতলা হাটের বাস্তবচিত্র। মাছ বাজার, কাঁচা বাজার থেকে শুরু করে রাস্তার উপরে বসেছে বিভিন্ন দোকানের পসরা। শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণই না যারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন তাদেরকেও ক্রেতা হিসেবে চোখে পড়ে তমালতলা হাটে।
এমন ঘটনা দেখে এলাকার সচেতন অনেকেই উদ্বিগ্ন। স্থানীয় আকরাম হোসেন বলেন, তমালতলা হাট লাগানো এবং এলাকার অবস্থা দেখে অনেকটা হতাশ আমরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অনেক মানুষই বাড়ির বাইরে এসে মেতে উঠছেন গল্প-আড্ডায় অথচ সংক্রমণ যাতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য লোকজনকে রাস্তায় বের না হতে নির্দেশনা এসেছে সরকারের কাছ থেকে। এই অবস্থা চলতে থাকলে করোনার সংক্রমণ রোধে ঘরে থাকার যে আহ্বান জানানো হয়েছে তা ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা আছে বাগাতিপাড়ায়। তাই প্রশাসনের একটু কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এব্যাপারে বাগাতিপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন তমালতলায়, বাজার বসেছিল। অনেকেই অপ্রয়োজনে জটলা সৃষ্টি করায় গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষের অসচেতনতার জন্য লোকসমাগম বিচ্ছিন্ন করতে কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি পরবর্তীতে বিষয়টি আরও কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।