নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনার প্রভাব পড়েছে নাটোরের রেলওয়ে স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডে। ঢাকামুখী যাত্রী প্রায় নেই বললেই চলে ট্রেন এবং বাসে। ঢাকা থেকে এবং বড় বড় শহর থেকে লোকজন ফিরতে শুরু করেছে নাটোরে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ছুটি হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদেরকে দলবেঁধে ঢাকা ছেড়ে চলে আসতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের বাংলাদেশে ফিরে আসা এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এরই মধ্যে গুজব এবং আতঙ্ক মানুষকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে যার প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। নাটোর থেকে ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী বাস বন্ধ ঘোষণা না হলেও রাজশাহী থেকে বাস বন্ধ করে দেয়ায় নাটোরের পরিবহন ব্যবস্থায় মন্দাভাব বিরাজ করছে। নাটোর থেকে যথারীতি গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে ১০-১২ জন বা কখনো ২-১ জন করে যাত্রী নিয়ে।
করোনা পরিস্থিতিতে রেল স্টেশন সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রভাব পড়েছে। গ্রাহকের অভাবে স্টেশন সংলগ্ন রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ হবার উপক্রম। বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন দোকানপাট গুলো ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় যোগাযোগ সেক্টর সংশ্লিষ্ট লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে।
নাটোর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী নারদ বার্তাকে জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢাকামুখী ট্রেন গুলোর যাত্রী সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে যাত্রীদের চাপে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পথঘাট সব শূন্য হয়ে পড়বে। দেখা দেবে খাদ্যপণ্য থেকে নানা উপকরণ সঙ্কট।