সারা বিশ্বে করোনা নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরীক্ষামূলকভাবে করোনার প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু করে দিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
অন্যদিকে, চীন তাদের করোনা ভাইরাসের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা সর্বশেষ হাসপাতালটিও নতুন রোগীর অভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া আরও কিছু দেশ ইতোমধ্যেই করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে এবং হচ্ছে। পাঠকদের জন্য নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো-
ভারতে ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হলেও দেশটির ডাক্তাররা সফলভাবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সম্পন্ন করেছে। Lopinavir, Retonovir, Oseltamivir এবং Chlorphenamine মেডিসিনের সংমিশ্রণে তৈরি করা মেডিসিনের মাধ্যমে সফলতা পেয়েছে। যা তারা বিশ্বব্যাপি সকল চিকিৎসককে অনুসরণ করতে বলেছে।
নেদারল্যান্ডের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টার (Erasmus Medical Center)-এর বিশেষজ্ঞরা করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় বিশেষ একটি এন্টিবায়োটিক তৈরি করেছে।
চীনে ১০৩ বছরের বৃদ্ধ মহিলাও ৬ দিন করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিওতে অবস্তিত ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক (Cleveland Clinic) করোনা ভাইরাসের ফলাফল কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিতে সক্ষম হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়াতে করোনার নতুন রোগী একেবারেই কমে এসেছে।
ইউরোপের দেশ ইতালিতে এখনও করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেশী থাকার কারণ, তাদের দেশে বয়স্ক মানুষদের সংখ্যাটা বেশী। যুবকরা এ তালিকায় নেই।
ইসরাইলের বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাসের মেডিসিন আবিষ্কার করার একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। দ্রুতই তারা এটা উন্মুক্ত করবে।
কানাডার একদল বিজ্ঞানীরাও করোনা ভাইরাসের মেডিসিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে।
নয়াদিল্লির সাফডারজাং হাসপাতালে (Safdarjung hospital, New Delhi) ভর্তি হওয়া ৭ জন করোনা রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশে প্রথম ধাপে করোনা আক্রান্ত ৩ জনই সুস্থ হয়েছেন। আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপি যখন সবাই আতংকিত, তখন এই সংবাদগুলো আসলেই সবাইকে আশান্বিত করবে তাতে সন্দেহ নেই। আশা করি, সমগ্র মানব জাতি ধর্ম জাতি নির্বিশেষে এই মরণঘাতি ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দ্রুতই জয়লাভ করতে পারবে।