বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৩ বছরের এক শিশু কন্যাকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত শিশুটিকে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করে অপহরণকারী। গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দুপুর থেকে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের মৎসজীবিপাড়া নানা মিন্টুর বাড়িতে নানী কদভানু ও বড়বোন রহিমা সহ বেড়াতে আসে মেয়েটি । শনিবার দুপুরে মেয়েটি নানার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আকাশ। আকাশ বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।
অপহৃত মেয়েটি জানায়- তানজিল নামে এক যুবক তাকে নানার বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ওত পেতে থাকা আকাশ এবং তানজিল মিলে তাকে জোরপূর্বক ধরে গাড়িতে করে জোনাইল নিয়ে যায়। এরপর রাত ৮টার দিকে এক ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় আকাশ তাকে কাজী অফিসে নিয়ে গেলে বিয়ের বয়স না হওয়ায় কাজী তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে আকাশ তার ফুপুর বাসায় মেয়েটিকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
এদিকে নানা-নানী, প্রতিবেশিদের খোঁজাখুঁজির বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রাত ১০টার সময় নগর ইউনিয়নে আকাশ তার মামার বাসায় অপহৃত ময়েটিকে নিয়ে যায়।
সেখানে শুরু হয় আরেক নাটকীয়তা। পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সেই রাত্রেই হাজির হয় কথিত দু’জন সাংবাদিক। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা অপহৃত মেয়েটির আত্বীয়দের মুখ খুলতে নিষেধ করেন। দেখান নানা ধরনের ভয়ভীতি। ১৫ হাজার টাকা নগদ দিয়ে সাদা ষ্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেয় সাংবাদিকসহ ছেলের আত্বীয়স্বজন । পুরো ব্যাপারটি গোপনে করেন ক্যামেরাবন্দী। পরেরদিন ছেলে এবং মেয়ের আত্বীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, ষ্ট্যাম্পে সই এবং টাকা নেওয়ার ভিডিওর ভয় দেখিয়ে দুপক্ষের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নেয় ৩০হাজার টাকা। দেওয়া হয় নানা ধরণের হুমকি।
এ বিষয়ে থানায় অবহিত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অপহৃতের পরিবার বলেন- আমরা মৎসজীবি মানুষ, ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ দাস জানান, বিষয়টি আমি বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি । যেহেতু মেয়েটির বাড়ি অন্য থানা এলাকায় ও এখন পর্যন্ত কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি তাই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থ গ্রহণ করা হবে।